আম কিনতে রাজশাহী গিলে থাকার ব্যবস্থা করবে প্রশাসন
রাজশাহীর আমের বাজার আর কিছু দিনের মধ্যে জমে উঠবে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা আসবেন আমের শহরে। কিন্তু করোনাকালে বন্ধ রাজশাহীর আবাসিক হোটেলগুলো। এ অবস্থায় ব্যবসায়ীরা রাজশাহী এসে থাকবেন কোথায়, সেটিই বড় প্রশ্ন হিসেবে দেখা দিয়েছিল। তবে তার সমাধান করে দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক।
ব্যবসায়ীরা এসে যেনো নির্বিগ্নে আবাসিক হোটেলগুলোতে থাকতে পারেন, তার ব্যবস্থা করবে স্থানীয় প্রশাসন। করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আম, লিচু ও অন্যান্য মৌসুমী ফল বিপণন এবং কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ বিষয়ে শনিবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সে রাজশাহী জেলা প্রশাসনকে এই নির্দেশনা দিয়েছেন মন্ত্রী। ভিডিও কনফারেন্সে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক সভাপতিত্ব করেন।
ভিডিও কনফারেন্সে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম মতিয়া চৌধুরী, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আ ফ ম রুহুল হক, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের এমপি ডা. সামিল উদ্দিন আহম্মেদ শিমুল, কৃষি ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ এবং জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট সিম্পসন সংযুক্ত ছিলেন।
ভিডিও কনফারেন্সে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের এমপি শাহরিয়ার আলম কৃষিমন্ত্রীর কাছে দাবি করেন, আমের মৌসুম শুরু হলে রাজশাহী থেকে আম যেনো নির্বিঘ্নে পরিবহন করা যায়। তাকে আশ্বস্ত করা হয়-এ বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত করা হবে।
রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে যুক্ত হন রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের এমপি ডা. মুনসুর রহমান। এছাড়াও ছিলেন জেলা প্রশাসক হামিদুল হক, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শামসুল হক, আঞ্চলিক ফল গবেষণা কেন্দ্রের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলিম উদ্দিন প্রমুখ। এখান থেকে একজন আমচাষি সরাসরি মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলে নিজেদের সমস্যার কথা জানান। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তাদের আশ্বস্ত করা হয়।
ভিডিও কনফারেন্স শেষে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শামসুল হক বলেন, রাজশাহীর প্রধান সমস্যা ছিলো ব্যবসায়ীরা আম কিনতে এসে কোথায় থাকবেন। সেটির সমাধান হয়েছে। আবাসিক হোটেলগুলো এখন বন্ধ থাকলেও আমের কেনাবেচা শুরু হলে প্রশাসন কয়েকটি নির্ধারিত হোটেল খোলার ব্যবস্থা করবে। আমরাও প্রশাসনকে এ কাজে সহযোগিতা করব।