‘বন্দিদশা’ থেকে মুক্তি চান পাকিস্তানি পরমাণু বিজ্ঞানী
পাকিস্তানের ‘বন্দিদশা’ থেকে মুক্তি চেয়েছেন দেশটির পরমাণু বিজ্ঞানী আবদুল কাদির খান। পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতে পেশ করা আবেদনে নিজেকে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার নজরদারির মধ্যে ‘বন্দি’ দাবি করে তাকে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করার অনুমতি দানের আবেদন জানান।২০০৪ সালে বিশ্ব জুড়ে পরমাণু বিস্তারে নিজের ভূমিকার কথা স্বীকার করে রীতিমতো হৈ চৈ ফেলে দেয়া এই বিজ্ঞানী মূলত পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র কার্যক্রমের জনক। তার তত্ত্বাবধানে ১৯৯৮ সালে পাকিস্তান সর্বপ্রথম নিজেদের তৈরি পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটায়। প্রতিবেশী ভারতের পরীক্ষার জবাবে নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্র শক্তির জানান দেয় তারা। তবে ২০০৪ সালে খানের ওই স্বীকারোক্তির কারণে তিনি নিজের অফিসিয়াল পদমর্যাদা হারিয়ে চাকরি থেকেও বরখাস্ত হন। পরে অবশ্য প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের ক্ষমা পেয়ে কারাগারে যাওয়া থেকে রক্ষা পান। তবে এর পর থেকে তার জীবনযাপনে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়। অবখ্য কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময়ে তার নিরাপত্তার খাতিরেই এরকম ‘কঠোরতা’র প্রয়োজন রয়েছে বলে জানায়।বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের বরাবরে পাঠানো হাতে লেখা এক নোটে আবদুল কাদির খান বলেন, ‘আমাকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আমার চলাফেলার স্বাধীনতা নেই।’