সামনে তালা দিয়ে মার্কেটের ভেতরে চলছে কেনাবেচা
করোনা ভাইরাস (কাভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে ঈদ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে রাজশাহী মহানগরীর সব মার্কেট ও বিপণিবিতানসূমহ। গতকাল শুক্রবার (১৫ মে) বিকেলে নগর ভবনে অনুষ্ঠিত এক সমন্বয় সভায় এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু শনিবার (১৬ মে) সকাল থেকে সেই সিদ্ধান্ত মানার বালাই নেই রাজশাহীর মার্কেটগুলোতে। বিশেষ করে রাজশাহী আরডিএ কর্তৃক পুনর্বাসিত মার্কেটের চিত্র একেবারেই উল্টো! বাইরে থেকে মূল ফটকে তালা মেরে ভেতরে সব দোকানপাট খোলা রেখেছে দোকানিরা! আর মার্কেটের মধ্যে মানুষের ভিড়। একে তো নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মার্কেট ও বিপণিবিতান খোলা হয়েছে। এর ওপর আবার কোনো ব্যবসায়ীই কোনো স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। ক্রেতারাও রয়েছেন অসতর্ক। এতে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জানা যায, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলার অনুমতি দেওয়া হলেও করোনা নিয়ন্ত্রণের জন্য গতকাল শুক্রবার রাজশাহীতে দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। নগর ভবনে মেয়র দপ্তর কক্ষে সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার সঙ্গে চেম্বার অব কর্মাস ও ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দের এক বৈঠকে সবার সম্মতিক্রমে সম্মিলিতভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সভায় মার্কেটের দোকান কর্মচারীদের সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু সেই নির্দেশনা অমান্য করে শনিবার সকাল থেকেই রাজশাহী আরডিএ মার্কেটের দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে। মার্কেটে ক্রেতাদেরও উপচে পড়া ভিড়। আরডিএ মার্কেটের ভেতরে কাপড়ের দোকানগুলো ক্রেতায় ঠাসা। করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকলেও কারও মুখে মাস্ক নেই। মার্কেটে শারীরিক দূরত্ব বজায় না রাখার পাশাপাশি হ্যান্ড স্যানিটাইজিং বা অন্য কোনো প্রতিরোধ ব্যবস্থার বালাই নেই। শফিকুল ইসলাম নামে একজন বাংলানিউকে বলেন, সিদ্ধান্ত হলে হোক। কিন্তু ঈদের আগে দোকানপাট না খুললে ক্ষতি হয়ে যাবে। কর্মচারীদের বেতন দেওয়ায় দুষ্কর হয়ে যাবে। এ কারণে ঈদের আগে দোকানপাট খুলে ব্যবসা করছি। এদিকে, জনসাধারণ, হাট-বাজারের ইজারাদার, শপিংমলের মালিক, দোকানের মালিক সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এমনকি হাট বাজার, দোকান, শপিংমল বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক হামিদুল হক।