কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


নিজের অজান্তেই মেয়ের মাংস খেল মা

খাসিয়া সম্প্রদায়ের মেয়ে লিকাই। খাসিয়ারা মাতৃতান্ত্রিক সমাজে বসবাস করে। এখানে পুরুষরা ঘর আর বাচ্চা সামলান। আর নারীরা জীবিকার তাগিদে বাইরে কাজে যান। লিকাইয়ের কম বয়সেই বিয়ে হয়। এক কন্যা সন্তান জন্ম দেয় লিকাই। সুখেই চলছিল তার সংসার। তবে এক বর্ষায় সাপের ছোবলে মারা যায় লিকাইয়ের স্বামী। মাত্র ১৯ বছর বয়সে দুই বছরের  শিশুকন্যাকে নিয়ে বিধবা হয় লিকাই। এরপর ছোট্ট মেয়েকে নিয়েই চলতে থাকে তার বেচে থাকার লড়াই। জীবিকার তাগিদে লিকাই বাইরে কাজ করতে যেত। মালবাহকের কাজ করত লিকাই। জঙ্গলে মহাজনেরা কাঠ কাটায়। অনেকের সঙ্গে লিকাইও সেই কাঠ মাথায় করে নিয়ে এসে রাস্তায় জমা করত। সবুজ ঘাসের কার্পেটে তুলি দিয়ে আঁকা মিষ্টি গ্রাম রংযাইরতেহ থাকত লিকাই। গ্রামের পাশেই মায়াবী ঝরনার শব্দ লিকাইয়ের কানে আসছিল। গাছের ডাল সরিয়ে লিকাই রোজ দেখত ঝরনাটিকে। এতবার দেখেও যেন স্বাদ মিটত না তার। কত আশা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে হাজার হাজার ফুট নীচে ছোট্ট এক হ্রদের বুকে। ছিটকে ওঠা জলের বাস্পে সূর্যের আলো পড়ে তৈরি হয় রামধনু। সেটা দেখে রোজ কাজে যায় লিকাই। সেসময় প্রতিবেশীর কাছে মেয়েকে রেখে কাজে আসত লিকাই। সারাক্ষণই মন পড়ে থাকত মেয়ের কাছে। মেয়ে তার ঠিক মতো আছে তো! বাড়ির সামনেই খাদ, দরজা দিয়ে বেরিয়ে পড়েনি তো! প্রতিবেশী মহিলা ঘুমিয়ে পড়েনি তো! নানান চিন্তা ঘিরে ধরত লিকাইকে। দিনের শেষ মোটটা নামিয়ে পয়সা বুঝে নিয়ে, পাকদণ্ডি পথ দিয়ে লিকাই ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়াত বাড়ির দিকে। বাড়ি ফিরে মেয়েকে কোলে নিয়ে তার শান্তি। চুমুতে চুমুতে আরও লাল করে দিত মেয়ের গাল দুটো। সারাদিন পর মাকে পেয়ে আঁকড়ে ধরত মেয়েও। আনন্দে আবেগে ডুকরে কেঁদে উঠত। এমনি করে দিন কেটে যেত, অভাগী মা আর মেয়ের। একসময় গ্রামেরই এক যুবক লিকাইয়ের প্রেমে পড়ে গিয়েছিল। রোজ ভোরে গ্রামের বাইরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকত লিকাইয়ের জন্য। লিকাইকে প্রেম নিবেদন করত। তবে জীবনের কাছে আঘাত পাওয়া লিকাই সাড়া দেয়নি। যুবকটি তাকে বোঝাত, লিকাইয়ের একরত্তি মেয়ের বাবা দরকার, আর তারা দুজনে মিলে ভালোভাবে মানুষ করতে পারবে দুধের শিশুটিকে। লিকাইকে আর একা সব চাপ নিতে হবে না। যুবকটি দেখাত নানান স্বপ্ন, প্রেম নিবেদন চলত দিনের পর দিন। চলত লিকাইয়ের প্রত্যাখ্যানও। ধীরে ধীরে লিকাই মানুষটিকে ভালোবেসে ফেলেছিল। কাজ তেমন কিছু করত না সে। মাঝে মাঝে জঙ্গলে পাখি, খরগোশ, সজারু, হরিণ শিকার করত। একদিন তারা বিয়ে করে ফেলে।  যেহেতু খাসি সমাজ মাতৃতান্ত্রিক। তাই সমাজের নিয়মে লিকাইয়ের নতুন স্বামী লিকাইয়ের বাড়িতে চলে এসেছিল। লিকাই কাজে যেত, ঘর আর মেয়ে সামলাত তার দ্বিতীয় স্বামী। শিকারে যাওয়ার সময় লিকাইয়ের স্বামী প্রতিবেশীর বাড়িতে রেখে যেত যায় লিকাইয়ের মেয়েকে। সারাদিনের পরিশ্রমের শেষে বাড়ি ফিরে, ক্লান্ত লিকাই সবার আগে কোলে তুলে নিত তার মেয়েটাকে। গরম পানিতে কাপড় ভিজিয়ে পরম মমতায় তার গা মুছিয়ে দিত। চুল আঁচড়ে দিয়ে পরিষ্কার পোষাক পরিয়ে দিত। এই সময় মেয়েটিও এক মুহূর্ত মায়ের কাছ ছাড়া হতে চাইত না। কোল থেকে নামালেই কাঁদত। রাতে লিকাইয়ের নতুন স্বামী লিকাইকে সোহাগ জানাতে গিয়ে দেখত, হাড়ভাঙা খাটুনিতে ক্লান্ত লিকাই কবেই ঘুমিয়ে পড়েছে। এভাবেই চলে যেত দিনের পর দিন।  নতুন স্বামীর মনে জমতে শুরু করেছিল বিষ। সে ভাবত তাকে উপেক্ষা করছে লিকাই। তার রাগ গিয়ে পড়েছিল ছোট্ট মেয়েটির ওপরে। লিকাই বেরিয়ে গেলে বিনা কারণে অত্যাচার করত ওই একরত্তি মেয়েটির ওপর। কখনও খেতে দিত না, কখনও মারধোর করত। লিকাইয়ের নজরে পড়েছিল মেয়ের পরিবর্তন। দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছে মেয়ে। বাড়ি ফিরে লিকাই রোজ দেখত, মেয়েটির চোখ বেয়ে নামা জলের দাগ। স্বামীকে জিজ্ঞেস করলে উত্তর পেত না। ছোট্ট মেয়েটিও হয়ত, আরও যন্ত্রণার ভয়ে মাকে কিছু বলত না। মা আর মেয়ে দু’জনে দু’জনকে আরও আঁকড়ে ধরেছিল।সমাজে বসবাস করে। এখানে পুরুষরা ঘর আর বাচ্চা সামলান। আর নারীরা জীবিকার তাগিদে বাইরে কাজে যান। লিকাইয়ের কম বয়সেই বিয়ে হয়। এক কন্যা সন্তান জন্ম দেয় লিকাই। সুখেই চলছিল তার সংসার। তবে এক বর্ষায় সাপের ছোবলে মারা যায় লিকাইয়ের স্বামী।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন