‘সবার আগে বরিশাল’, ‘কেবিন লাগলে এই দিকে!’, ‘এই লঞ্চে ১০০’—একসময় প্রতিদিনই এমন হাঁকডাকে জমজমাট থাকতো সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল। বিশেষ করে ঈদের আগে তা আরো কয়েকগুণ বেড়ে যায়। কিন্তু করোনাভাইরাসের জেরে সারাদেশে নৌ-চলাচল বন্ধ। এই সুযোগে বুড়িগঙ্গা নদী কচুরিপানায় ভরে গেছে, হয়ে উঠেছে সবুজ। করোনায় সৃষ্ট পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে বুড়িগঙ্গায়ও। বিশ্বের অনেক ব্যস্ত শহরের পাশের নদীর মতো না হলেও, কিছুটা বদলাচ্ছে এ নদীর দূষণ। কলকারখানা বন্ধ থাকায় অপরিশোধিত তরল ও কঠিন বর্জ্য বুড়িগঙ্গায় গড়াচ্ছে না। ডিঙি নৌকায় মানুষ পারাপারের দৃশ্যেরও দেখা মিলছে কদাচিৎ। অন্যদিকে ঘাটে থাকা নৌযানগুলো থেকে মাঝেমধ্যেই ফেলা হতো খাবারের পরিত্যক্ত মোড়ক, ফলের খোসা, বোতলসহ নানা বর্জ্য; এখন সেসব দূষণও বন্ধ। বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্ষা মৌসুম বাদে সারা বছরই বুড়িগঙ্গায় যে পানি থাকে তাতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ থাকে সর্বনিম্ন। পানি রং ধারণ করে একেবারে কুচকুচে কালো। বুড়িগঙ্গা পরিণত হয় আবর্জনার ভাগাড়ে। তবে এখন কলকারখানা বন্ধ থাকায় ও মানুষের যাতায়াত কমে যাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছে নদীটি। এ সুযোগে কচুরিপানাও বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত বলেন, সবচেয়ে দূষিত নদী বুড়িগঙ্গা। এরপর তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও ধলেশ্বরী। দখল-দূষণে মরতে বসেছে নদীগুলো।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.