কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


বৃদ্ধাশ্রমে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত মেকআপম্যান আবদুর রহমান

পর্দায় যারা অভিনয় করেন তাদের আমরা সবাই চিনলেও, চিনি না পর্দার আড়ালের মানুষগুলোকে। যাদের পরিশ্রমে পর্দায় উপস্থিত মানুষগুলোকে এত চাকচিক্য লাগে। পর্দার বাহিরের সে রকমই একজন মানুষ হলেন মেকআপম্যান আবদুর রহমান। নিজের কাজের কারণে জাতীয় পুরস্কারও পান। তবে এই মানুষটির এখন দিন কাটছে বৃদ্ধাশ্রমে।  সারা বছরই অসুস্থ থাকেন আবদুর রহমান। প্রথমে তাকে আশ্রয় দেন প্রয়াত পরিচালক তারেক মাসুদের সহকারী আলী আহসান। পরে চোখে দেখতে না পাওয়ার কারণে চিত্রনায়িকা তমা মির্জা তার চিকিৎসা করান। এরপরে চোখে আলো ফিরে পান জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এই মেকআপম্যান। আবদুর রহমানকে দেখার মানুষ খুব একটা নেই। দীর্ঘদিন তাকে নানাভাবে সহযোগিতা করে আসছেন আলী আহসান। তবে নিজের ব্যক্তিগত কাজের কারণে ব্যস্ত থাকেন আলী। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই তাকে সাভারের ‘মিল্টন হোম কেয়ার’ নামের একটি বেসরকারি বৃদ্ধাশ্রমে দিয়ে আসেন। আলী আহসান বলেন- আবদুর রহমান ভাই আমার আত্মীয় নন, তবে তারও বেশি। রহমান ভাই একজন মেকআপম্যান, আমরা একই জগতের মানুষ। ২০১৬ সাল থেকে আমার বাসায় থাকছেন তিনি। বর্তমানে অসুস্থতার কারণে বিছানায় পড়ে থাকেন। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই বৃদ্ধাশ্রমে দিয়ে এসেছি কয়েক মাস আগে। অনেক খারাপ লেগেছে, তবে সেখানেই ভালো থাকবেন তিনি।  আলী আহসান আরো বলেন, কোনো অনাথ বৃদ্ধাশ্রমে থাকছেন না আবদুর রহমান। মাসে দশ হাজার টাকা করে দিতে হচ্ছে ‘মিল্টন হোম কেয়ার’ বিদ্ধাশ্রমকে।  কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আবদুর রহমান বলেন, আমি সংবাদমাধ্যমের কাছে ঋণী। সবাই আমার জন্য অনেক করেছেন। আলী আহসান আমাকে বাবার মতো সম্মান ও ভালোবাসা দিয়েছে। বৃদ্ধাশ্রমে কেমন কাটছে তার দিন এমন প্রশ্নের জবাবে আবদুর রহমান বলেন, এখানে ভাল আছি। সবাই আমার খোঁজ-খবর রাখছেন। পরিবার নিয়ে আবদুর রহমান বলেন, বিয়ে না করার কারণে কাজই আমার পরিবার ছিল। বাবা-মা মারা গেছেন অনেক আগেই। বিক্রমপুর নিজের বাড়িতে আমি পঁচিশ বছর ধরে যাই না। টাকা সঞ্চয় করার চিন্তা কখনো করিনি। কাজ করে জীবনটা পার করে দিবো এমনটাই চিন্তা ছিল আমার। কিন্তু শারীর আমাকে অসহায় করে দিয়েছে। ২০১৮ সালের ১৫ অক্টোবর গণমাধ্যমে উঠে আসে আবদুর রহমানের অসুস্থতার খবর। এমন সংবাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে আসলে তাকে পাঁচ লাখ টাকার আর্থিক অনুদান দেয়া হয়। ১৯৬৫ সালে প্রথম চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন আবদুর রহমান।  এরপরে ২০১০ সালে ‘মনের মানুষ’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এরপরে মাসুদ পথিক পরিচালিত সরকারি অনুদানের ছবি ‘নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ’ এর জন্য ২০১৪ সালে দ্বিতীয়বারের মতো শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। ‘ভুবন মাঝি’তে সর্বশেষ কাজ করে নিজের ক্যারিয়ারের ইতি টানের তিনি।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন