বাগেরহাটে দোকানপাটে উপচে পড়াভিড়
বাগেরহাটে করোনাকালে দোকানপাট খুলে দেওয়ার পর থেকেই বাড়ছে সংক্রমণের শঙ্কা। ভিন্ন জেলা থেকে বাগেরহাটে এসে নারী ও শিশুসহ এখন পর্যন্ত ৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন একজন। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে প্রায় দেড় মাস বন্ধ থাকার পর ইতিমধ্যেই খুলে দেওয়া হয়েছে দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
বাগেরহাট জেলা শহরসহ উপজেলাগুলোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ করোনা স্বাস্থ্যবিধি না মানেই ঈদকে সামনে রেখে দোকানপাট খোলা রাখায় লোকজনের উপচে পড়া ভিড় লেগে থাকছে। বাগেরহাটে বাড়ছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি।
করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারের নির্দেশনা মেনে গত ২৬ মার্চ থেকে জেলার দোকান মালিকরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখে। খোলা রাখা হয় নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ও ওষুধের দোকান। শুরুতে কঠোরতা এবং মানুষের সচেতনতা লক্ষ করা গেলেও সাধারণ মানুষ এখন ঘর থেকে বের হচ্ছে।
তার উপর গত ১০ মে থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে দোকানপাট, ফলে হাটবাজারে বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। বড়-বড় শপিংমল, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, শাড়ি, কাটাকাপড়, গার্মেন্টস, কসমেটিকস ও জুতার দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড় লেগে থাকছে।
এ অবস্থায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়াবহ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে জেলার অধিকাংশ মানুষ। তবে ব্যবসায়ী নেতা ও দোকান মালিকরা বলছেন, করোনা আক্রান্ত হওয়ার ভয় নিয়ে জীবিকার তাগিদে দোকান খুলতে হচ্ছে। সীমিত সময়ের জন্য দোকান খোলা থাকায় ক্রেতাদের তাড়াহুড়া থাকায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কিছুটা রয়েছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সকল শর্ত মেনে ১০ মে থেকে জেলার দোকানপাট থেকে খুলে দেয়া হয়েছে। এখানকার দোকান মালিকদের সরকারের দেয়া শর্ত অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। সার্বিক তদারকির জন্য জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতসহ গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক টিম মাঠে থাকবে। নির্দেশনার অমান্য করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।