একই দিনে, মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দুই বাংলা হারালো দুই বিশিষ্ট সাহিত্যিককে। বৃহস্পতিবার (১৪ মে) জীবনাবসান হলো বিশিষ্ট সাহিত্যিক আনিসুজ্জামান এবং ঔপন্যাসিক দেবেশ রায়ের। প্রায় অর্ধ শতকের বেশি সময় ধরে বাঙালিকে সমৃদ্ধ করে যাওয়া অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের পথচলা শেষ হলো নজিরবিহীন এক সঙ্কটের কালে। করোনার প্রকোপে যখন ধুঁকছে গোটা দুনিয়া, সেই সময় করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিরবিদায় নিলেন ৮৩ বছরের বরেণ্য এই লেখক-অধ্যাপক। সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার আনিসুজ্জামানের হাত ধরেই এসেছে বাংলাদেশের সংবিধানের বাংলা সংস্করণ। যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে সোচ্চার ছিলেন আনিসুজ্জামান। স্বনামধন্য এই সাহিত্যিক মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন। আমৃত্যু তিনি বাংলা একাডেমির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। অপরদিকে ওইদিনেই বাংলা সাহিত্য হারালো প্রকৃত ছকভাঙা ঔপন্যাসিক দেবেশ রায়কে। বুধবার (১৩ মে) দেবেশ রায়কে তেঘরিয়া অঞ্চলে এক নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার (১৪ মে) স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৫০ মিনিট নাগাদ তার মৃত্যু হয়। যেহেতু তার শ্বাসকষ্ট ছিল তাই তার নমুনা পাঠানো হয়েছে করোনা পরীক্ষার জন্য। তবে দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন এই সাহিত্যিক। তার বেড়ে ওঠা উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সময় থেকেই প্রত্যক্ষ বামপন্থি রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন দেবেশ রায়। রাজনীতির সূত্রেই চষে ফেলেন গোটা উত্তরবঙ্গ।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.