'আই ওয়ার্ক ফর কেজিবি, বেবি'
যা ভাবছেন, তাই। শিরোনামের কথাগুলো এক স্পাই এজেন্টের। এমন ভাবাটাই স্বাভাবিক। কথাগুলো তো একটি গোয়েন্দা বা গুপ্তচর সংস্থার হয়ে কাজ করাকেই বোঝায়। কিন্তু দৃশ্যভেদে এই একটি বাক্যের নানান অর্থ হতে পারে। আর তা বোঝার জন্যই দেখতে হবে 'আন্না' ছবিটি। আগেই বলে নিই, যতটা সহজ অ্যাকশন ছবি মনে করছেন, আন্না মোটেও তা নয়। ধুন্ধুমার মারপিট যেমন আছে, তেমনই আছে জিলাপির প্যাঁচ। সেই প্যাঁচ ছাড়াতে ছাড়াতে একসময় পুরো ছবিটিই হয়ে ওঠে একজন নারীর সংগ্রামের দৃশ্যপট। সেখানে একজন নারী স্পাই সব ছাপিয়ে লড়ছেন নিজের স্বাধীনতার জন্য, স্বাধীনভাবে বাঁচার জন্য। সেই সূত্রেই এসেছে প্রেম, এসেছে খুন। সব এড়িয়ে পাখির চোখ একটাই। আর তা হলো মুক্তি। নাম ভূমিকায় দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন সাশা লাস। সব হারিয়ে ফেলা মানুষ, কারও মাথা বরাবর গুলি ছোড়া বা অন্যের স্বার্থের চক্করে পড়ে হাঁসফাঁস করা—সব চরিত্রেই তিনি সপ্রতিভ। খামতি খুব একটা চোখে পড়ে না। অন্য এজেন্টের চরিত্রে সাবলীল ছিলেন কিলিয়ান মারফি ও লুক ইভানস। তবে চরিত্রাভিনয়ে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিলেন হেলেন মিরেন। কখনো গুপ্তচরদের বজ্রকঠোর বস, কখনো লোভী কর্মকর্তা হয়ে উঠেছেন হেলেন। সবশেষে তিনি কী রইলেন? স্পাই নাকি সমব্যথী নারী? এটাই এই ছবির সবচেয়ে বড় ক্লাইম্যাক্স। শেষটায় কিছুটা ধোঁয়াশা আছে। আর সেই ধোঁয়াটে উপসংহারই হয়তো আপনাকে সবচেয়ে বড় চমক দেবে।
- ট্যাগ:
- বিনোদন
- সিনেমা রিভিউ
- স্পাই