রসালো শাঁসালো হরেকরকম ফলের ডালি নিয়ে হাজির হলো ‘মধুমাস’ জ্যৈষ্ঠ। গাছে গাছে ঝুলছে টক-মিষ্টি আম, মন ভোলানো লাল লাল লিচু। আর আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠালও পাকতে শুরু করেছে। মধুময় ফলের ডালি যেন পূর্ণতা পায় এ সময়ে। জ্যৈষ্ঠের সঙ্গে ‘মধুমাস’ বিশেষণটি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে। কারণ এ মাসে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, আনারস, তরমুজ, ডেউয়া, লটকন, গোলাপ জাম, বেতফল, গাব, জামরুল, আতাফল, কাউ, শরীফা প্রভৃতি ফল পাওয়া যায়। ফলের এই মৌ মৌ ঘ্রাণে জ্যৈষ্ঠ হয়ে উঠেছে মধুময়। এদিকে তাপপ্রবাহের দাপট দেখিয়ে বিদায় নিল বছরের পহেলা মাস বৈশাখ। এ মাসে বেশ কয়েকবার কালবৈশাখী ছোবল মেরেছে দেশের কয়েকটি অঞ্চলে। কালবৈশাখীর প্রভাব রাজধানী ঢাকায়ও ছিল খানিকটা। তবে তাপপ্রবাহের দাপটই ছিল বেশি। জ্যৈষ্ঠ মানে কি শুধু ফল? না! গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুলেল আগুনে ছেয়ে যায় বন-বাদার। এ সময়ে লাল টুকটুকে কৃষ্ণচূড়া, পারিজাত, জবা, মাধবী, করবী, কড়ই, হলদিয়া, কনকচূড়া, হলুদচূড়া, সোনালু, জারুূল, বকুল, বেলি, নিমকুল এমনকি বর্ষা রানীর প্রতীক কদমফুল ইত্যাদি মনোহর শোভা আর মৃদু সুগন্ধী বিতরণ করে অবসন্ন চোখে প্রশান্তি এনে দেয়। এতকিছুর পরও জ্যৈষ্ঠের সঙ্গে ‘মধুমাস’ শব্দটি বসালে প্রশ্ন উঠতে পারে! কারণ অভিধান বলছে, চৈত্র মাস হচ্ছে মধুমাস। খনার বচনেও মধুমাস বলতে চৈত্র মাসকেই বোঝানো হয়েছে, ‘মধুমাসে প্রথম দিনে হয় যেই বার/ রবি শোষে মঙ্গল বর্ষে, দুর্ভিক্ষ বুধবার।/ সোম শুক্র শুরু আর/ পৃথ্বী সয় না শস্যের ভার।/ পাঁচ শনি পায় মীনে/ শকুনি মাংস না খায় ঘুণে।’ তবে লোকমুখে এখন জ্যৈষ্ঠই যেন আসল মধুমাস।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.