ফের খুন করলেন ক্ষমায় মুক্ত খুনি!
কয়েক দিন আগে টেলিভিশনের এক টকশোতে এক আইনজীবী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি বললেন, একটি পুরনো শাড়ি চুরির অপরাধে একজনকে বছরের পর বছর কারাবন্দী থাকতে হতে পারে। এর দু’টি কারণ : এক তিনি দণ্ডিত হতে পারেন, অপরটি হলো তিনি বিনা বিচারে কারাগারে আটক থাকতে পারেন। যদি এ ব্যক্তি দীর্ঘদিন কারান্তরীণ থাকেন তা হলে তার পরিবার, স্বজন প্রত্যেকেই একটি অনিশ্চিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হবেন। যদি তাকে আপনি ক্ষমা করে দেন তবে তার পরিবারটি রক্ষা পায় এবং হয়তো এ ধরনের অপরাধ ওই ব্যক্তি না-ও করতে পারেন। কথাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ ব্যক্তি যে অপরাধ করেছেন তা আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ বটে কিন্তু সে ধরনের মারাত্মক নয়। সে কারণে এ ধরনের অপরাধীকে ক্ষমা করা যায়। সাধারণত এ সব অপরাধে ছয় মাস বা এক বছর কারদণ্ড হয়। কিন্তু অপরাধের রায় কারাদণ্ড ঘোষণা পর্যন্ত পৌঁছাতে তাকে হয়তো জেলে থাকতে হয় দুই থেকে ১০ বছর। আর এ সময়টিতে ধ্বংস হয়ে যায় একেকটি পরিবার। এ বিষয়টির দিকে খুব গুরুত্বের সাথে নজর দেয়া প্রয়োজন। কেননা কারাগারে এখন নানা কারণে হাজার হাজার বন্দী রয়েছেন এবং এ সংখ্যা কারাগারের ধারণক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি। সে কারণে সরকার সম্প্রতি চিন্তা করেছে যে, কারাগার থেকে ৯০ হাজার বন্দীকে তারা মুক্তি দেবেন। প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছে, যেসব বন্দী তিন মাস বা ছয় মাস দণ্ডিত তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করা হবে। আমার দৃষ্টিতে এটি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। দেখা যাবে দণ্ডিতরা হয়তো ইতোমধ্যেই পাঁচ মাসের দুই মাস বা ছয় মাসের তিন মাস কারাগারে কাটিয়েছেন। সুতরাং এর ফলে কারাগারে অনেক বেশি স্থান সঙ্কুলান সম্ভব হবে। কারাগারে শুধু যে অপরাধীরাই রয়েছেন তা নয়, বরং সেখানে বহু রাজনৈতিক নেতাকর্মী বন্দী আছেন।