কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

চাই বৈষম্যহীন মানবিক সমাজ

জাগো নিউজ ২৪ সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ১৩ মে ২০২০, ০৯:২৩

পবিত্র সিয়াম সাধনার মাস রমজান শেষ হতে চললো। রমজানের রোজা রাখা মুসলমানের জন্য যেমন ফরজ তেমনি জাকাত প্রদান করাও ফরজ। আর্থিকভাবে সচ্ছল মানুষদের ওপর জাকাত আদায় বাধ্যতামূলক। শুধু ধর্মীয় দিকই নয় সামাজিক বৈষম্যরোধ ও মানবিক মূল্যবোধতাড়িত সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষেও জাকাত বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। জাকাত একটি আরবি পরিভাষা। এর অর্থ পবিত্রতা, প্রাচুর্যতা, ক্রমবৃদ্ধি এবং প্রশংসা ইত্যাদি। ইসলামী পরিভাষায় জাকাত হচ্ছে সম্পদের একটি নির্দিষ্ট অংশ কোনো অসহায় মুসলমানকে দুনিয়াবী স্বার্থ ছাড়া প্রদান করা। জাকাত হচ্ছে অসহায়, অভাবী, অক্ষম এবং সুবিধাবঞ্চিত মুসলিম জনগোষ্ঠীর সামাজিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং দারিদ্র্যবিমোচনের মূল হাতিয়ার। জাকাত হচ্ছে একটি মানবিক সমাজ গড়নের হাতিয়ার এবং মানবকল্যাণই জাকাতের মূলমন্ত্র। জাকাত আদায়ের মাধ্যমে একজন মানুষের সম্পদ পবিত্রতা অর্জন করে, আর সেই জাকাতের অর্থ দিয়ে বঞ্চিত মানুষের সমস্যা সমাধান হয়। জাকাত হচ্ছে ধনীদের সম্পদে গরিবের অধিকার, যা আদায় করতে ধনী ব্যক্তিটি বাধ্য। কাজী নজরুল ইসলাম তার লেখায় বলেছেন- ‘দে জাকাত, দে জাকাত, তোরা দে রে জাকাত, তোর দিল খুলবে পরে, তোর আগে খুলুক হাত’- এই বাণী অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা অনেক সম্পদশালী আছেন যারা সেটি খরচ করতে চান না। অথচ এটি গরিবের অধিকার। কেউ খাবে, কেউ খাবে না- এটি ইসলামের নীতি নয়। ইসলাম শান্তির ধর্ম। সমতার নীতি প্রতিষ্ঠায়ই এর মূল কথা। সমাজে যদি বৈষম্য থাকে, অভাব থাকে, ক্ষুধা থাকে, দারিদ্র্য থাকে তাহলে সেই সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা কঠিন। সে কারণেই সম্পদের একটি সুষম বণ্টনব্যবস্থা হচ্ছে জাকাত। আবার জাকাত প্রদানের ক্ষেত্রে আমাদের এখানে লোক দেখানো ব্যাপারও কাজ করে থাকে। অনেকে মাইকিং করে সস্তায় কেনা কাপড় প্রদান করেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও