সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে রূপপুর, পায়রায় ৭শ’ কোটি

বাংলা নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ১২ মে ২০২০, ১০:০১

করোনা ভাইরাসের থাবা একসময় দুর্বল হয়ে পড়বে। দেশ ফিরবে স্বাভাবিক অবস্থায়। সচল হবে অর্থনীতির চাকা। সেই আশার আলো নিয়েই চলছে আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের কাজ। এরইমধ্যে ৫ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার খসড়া বাজেট প্রস্তুত করা হয়েছে। বাজেটে ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। উন্নয়ন বাজেটে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ১৫ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হবে। এছাড়া পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, কর্ণফুলী টানেল ও দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হতে মিয়ানমারের নিকটে ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি ২০১০ সালে শুরু হয়েছে। সমাপ্ত হবে ২০২২ সালে। বর্তমানে প্রকল্পের অগ্রগতি ৩৮ শতাংশ। নতুন এডিপি চূড়ান্ত করার জন্য দেশের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের চাহিদা জানতে চিঠি দিয়েছিল পরিকল্পনা কমিশন। সবার চাহিদার ওপর নির্ভর করে খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। খসড়া এডিপি এনইসি সভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে মঙ্গলবার (১২ মে) পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

এডিপি চূড়ান্ত করতে ছুটির মধ্যেও কাজ করছে পরিকল্পনা কমিশন। পরিকল্পনা বিভাগ সূত্র জানায়, নতুন এডিপিতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে ১৫ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা। দ্রুত উৎপাদনে যেতে বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল এ প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়ছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় এখন সরকারি হিসাবে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি ৯১ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) দলিলে এই ব্যয়ের অংক উল্লেখ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের কংক্রিট ঢালাইয়ের কাজ শুরুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বিশ্ব পরমাণু ক্লাব’ (নিউক্লিয়ার নেশন)-এ যুক্ত হয়। বাংলাদেশ হবে এই ক্লাবের ৩২তম দেশ। বর্তমানে বিশ্বের ৩১টি দেশে ৪৫০টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিট চালু আছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নের মোট ব্যয়ের ৯০ শতাংশ অর্থ ঋণে সরবরাহ করছে রাশিয়া। এই প্রকল্পে রাশিয়ার উদ্ভাবিত সর্বাধুনিক ৩+ প্রজন্মের (থ্রি প্লাস জেনারেশন) ‘ভিভিইআর ১২০০’ প্রযুক্তির পারমাণবিক চুল্লি ব্যবহার করা হবে। প্রতিটি ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ইউনিট স্থাপন করা হবে। এতে ২০২৩ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা। পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, নতুন এডিপিতে ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ পাবে পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ প্রকল্প।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও