মনবাতায়নে গ্রীষ্মের জারুল ফুল
করোনার প্রভাবেও করুণ মায়াবি দৃষ্টি মেলে রঙিন হাসির পরশে মনবাতায়নে দুলছে জারুল ফুল। এ যেন গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবাদহে একটুকরো রঙিন হিমেল হাওয়া। কবি জীবনানন্দ দাশের 'রূপসী বাংলা' কাব্যে গ্রীষ্মের খরতাপের একটু প্রশান্তিতে বেগুনি আভার জারুল ফুলের সরব উপস্থিতি লক্ষণীয়। প্রকৃতির অনবদ্য রূপ রশ্মি নিয়ে গ্রীষ্ম ঋতুতেই হাজির হয় জারুল। অসম্ভব সুন্দর বেগুনি রঙের থোকা থোকা জারুল ফুল যেন এক পশলা মনের প্রশান্তি। গ্রীষ্মের দাবদাহের সঙ্গে যেন সংগ্রাম করে পথে প্রান্তরে নিজের রূপযৌবন নিয়ে স্বমহিমায় সৌন্দর্যের পরশ বিলিয়ে যাচ্ছে জারুল ফুল।
জানা যায়, গ্রীষ্মের শুরুতেই সৌন্দর্যের মাধুরি দিয়ে প্রকৃতিকে অপরূপ রূপে সাজিয়ে তোলে বেগুনি রঙের জারুল ফুল। গ্রীষ্মের ফুল হলেও দেখা মেলে শরৎ পর্যন্ত। গাছের ডগায় ওপরের স্তরে প্রতিটি ফুলের ছয়টি পাপড়ির মাঝে থাকে হলুদ রঙের পরাগকোষ। যদিও এর রঙ বেগুনি, তবুও অনেক সময় এর রঙ সাদার কাছাকাছি এসে পৌঁছায়। মাঝারি আকৃতির এই গাছটি ১০ থেকে ১৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়।