কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


‘পিঠমোড়া করে শুধু কাজল নয়, আমাদের পুরো পরিবারকে বেঁধেছে’

সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে পিঠমোড়া করে বেঁধে থানায় এবং পরে জেলহাজতে নেয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তার ছেলে মনোরম পলক। তিনি বলেছেন, পিঠমোড়া করে তো শুধু কাজলকে বাঁধেনি, আমাদের পুরো পরিবারটিকে একসঙ্গে বেঁধেছে। একটার পর একটা মামলা দিয়ে বাঁধছে। আমাদের পরিবারে আমরা পাঁচজন মানুষ। মাথাপ্রতি একটি করে মামলা। মঙ্গলবার (৫ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে এসব কথা বলেন ছেলে মনোরম পলক। গত ৮ মার্চ হাতিরপুলে নিজ কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল। নিখোঁজের ৫৪ দিন পর ৩ মে তার সন্ধান পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের মামলা করেছে বিজিবি। তবে পিঠমোড়া দিয়ে সাংবাদিক কাজলকে হাতকড়া পরানো ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অনেকে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলের ছবি পরিবর্তন করে হাতকড়ার ছবিটি দিয়েছেন। মঙ্গলবার ফেসবুক পোস্টে সাংবাদিক কাজলের ছেলে মনোরম পলক লিখেছেন, ‘৫৩ দিন পরে ৫৪ ধারার মামলা। পিঠমোড়া করে তো শুধু কাজলকে বাঁধেনি আমাদের পুরো পরিবারটিকে বেঁধেছে একসাথে। একটার পর একটা মামলা দিয়ে বাঁধছে। আমাদের পরিবারে আমরা পাঁচজন মানুষ। মাথাপ্রতি একটি করে মামলা। তিনটি Digital security act মামলা দিয়েছে। ধরেন, একটি আমার বাবার মাথা গুনে, একটি আমার মা জুলিয়া ফেরদৌসকে, একটি আমি মনোরম পলকের মাথা ভেবে। এই গেল তিনটি মামলার হিসাব। তারপর ধরেন, আমার ১১ বছরের বেয়াড়া ছোট বোনের মাথা কাউন্ট করে দেশ উপহার দিল ৫৪ ধারার মামলা।’ ‘এরপর আমাদের সাথে থাকেন আমার নানাভাই। নানাভাইকে মাথায় রেখে বিজিবি দিল অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা। এই একটি মাত্র মামলায় আমার বাবা এবং আপনাদের কাজলের জামিন হয়েছে। নানাভাই আপাতত দুধ ভাত।’ মনোরম আরও লিখেছেন, “প্রথম ৫৩টা দিন আমরা ছিলাম শোকে কাতর তবুও আমরা ছিলাম প্রচণ্ড রকমের আশাবাদী। আপনাদের মধ্যে অনেকেই বলেছেন, ‘কাইট্যা ভাসিয়ে দিয়েছে কখন’, অনেকেই বলছেন ‘ফিরে আর পাবেন না’, আবার অনেকেই বলছেন, ‘সঙ্গে আছি, সঙ্গে থাকব’। আমরা দুই বিপরীতমুখী টানে আমরা ৫টা প্রাণী মাঝখানে সিধা দাঁড়িয়ে ছিলাম। রাষ্ট্র বলেন বা দেশ বলেন অথবা সিস্টেম, আমাদেরকে নিজ ঘরের সবচেয়ে অন্ধকার অংশে কোনঠাসা করে রেখেছিল। আমরা সেখানে ৫টা প্রাণী প্রতিদিন পালা করে কেঁদেছি। মনে হয়েছিল আমরা ৫ জন একটা চিকন সরু তারের উপর দুদোল্যমান।” ‘কতবার যে সেই তার থেকে নিচে পরেছি। রক্তাক্ত মুখটা নিয়ে আবার উঠে দাঁড়িয়েছি সেই তারে আপনাদের অনেকের বাড়ানো হাতটি ধরে। টিভি মিডিয়ার ব্যক্তিত্ব, শিল্পনির্দেশক, শিল্পী, লেখক, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী-এ রকম বহুজনের কথা এখন মনে পড়ছে, যাদের বাড়ানো হাতে আমরা শক্তি পেয়েছি।’ “এখন আমাদের ‘মে ইন যশোর ডেইজ’ শুরু। আমাদের আর আমাদের চার দেয়ালের ঠুনকো নিরাপত্তার মধ্যে পুরে রাখেনি আপনাদের রাষ্ট্র, আমাদেরকে টেনেহিঁচড়ে যশোরে নিয়ে গেছেন। আমাদের গায়ের চামড়া সরু তার থেকে পরতে পরতে, তদুর্যপরি অদৃশ্য চাবুকের একটার পর একটা আঘাতে করেই ছিলে নিয়েছে। এখন সিস্টেম দিয়ে আমাদের ছোলা গতরে লবণ মাখা হচ্ছে। আমাদের পুরো পরিবারটিকে পিঠে হাতমোড়া দিয়ে বেঁধেছে। আমাদের মুখ বাঁধা লাল গামছায়। আমাদের পায়ে টাকা নামক অভাবের শিকল দিয়ে বাঁধবে বলে তাদের নীলনকশা তৈরি”-লিখেছেন মনোরম।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন