‘এক্সট্র্যাকশন’ ছবিতে যেভাবে যুক্ত হলেন আট বাংলাদেশি র্যাপার
হলিউড আর ঢাকা- বছরজুড়েই এ নিয়ে বেশ হইচই। শোনা গিয়েছিল, হলিউড ছবিতে ঢাকার গল্প থাকছে। ছবির নাম ‘এক্সট্র্যাকশন’। পর্দায় থাকবে না কোনও অভিনেতা বা নির্মাতার ছোঁয়া। কিন্তু সেখানে যে বাংলার লাল পাহাড়ের সুর শোনা যাবে, তা কে জানত!গত ২৪ এপ্রিল ছবি মুক্তির পর বোঝা গেল, সেখানে কাজ করেছে একদল র্যাপার। পুরো ছবিতে যত্রতত্র কলকাতার কথার টান, তাই তখনও হয়তো অনেকে ভেবেছেন, গানের কাজটিও ওপারের কেউ করে দিয়েছেন। আর এটা তো র্যাপ! হতেই পারে!না। ‘এক্সট্র্যাকশন’ ছবিতে ব্যবহার হয়েছে দুটি র্যাপ গান। যার সবটুকুই করেছেন বাংলাদেশের র্যাপাররা। তাও কারও বাড়ি ঢাকায়, তো কারও সাভার। আছেন কুমিল্লারও একজন।দুটির মধ্যে ‘নো বাউন্ডারি’ গানটি করেছেন ব্ল্যাক জ্যাং। যার পুরো নাম আসিফুল ইসলাম সোহান। বাংলাদেশের র্যাপ গান নিয়ে যে দু’চারজন তরুণ আন্তর্জাতিক নজর কাড়তে পেরেছেন, তার মধ্যে তিনি অন্যতম।আর ছবির একদম শেষে ক্রেডিট লাইনের ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজানো হয় ‘বাংলা সাইফার ২০১৬’ গানটি।এটি তৈরি করেছেন আরও সাতজন র্যাপার। বয়সে কেউ কেউ মাত্রই বিশ্ববিদ্যালয়ে চৌহদ্দিতে ঘোরাফিরা করেন। এরা হলেন- সম্রাট সিজ, গোলাম, ইরফু জি, নিজাম রাব্বি, ভিএক্সএল (ভিশাল), দর্পণ আরভিএস ও পাঙ্কস্থ। তারা মূলত বিভিন্ন অঞ্চলের।আর গান দুটি আগেই তারা প্রকাশ করেছিলেন। এগুলোই ছবির জন্য নির্বাচন করা হয়। গানের পেছনের কারিগরদের সারসংক্ষেপ মূলত এটিই। এ তো গেল পরিচিতি পর্ব। কিন্তু হলিউডের নির্মাতা স্যাম হারগ্রেভ বা নেটফ্লিক্স কর্তৃপক্ষই বা কীভাবে তাদের পেলেন!