গ্রাহক সুরক্ষায় পরিকল্পনাহীন ব্যাংক

বণিক বার্তা প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল ২০২০, ০১:০৩

নভেল করোনাভাইরাসে লণ্ডভণ্ড অর্থনীতি মেরামতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি এগিয়ে আসছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোও। প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থেই নিজ গ্রাহকদের টেনে তোলার পরিকল্পনা ঘোষণা করছে অনেক ব্যাংক। যদিও অনেকটা হাত গুটিয়ে বসে রয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর শীর্ষ নির্বাহীরা। সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের খুঁটিনাটি বিশ্লেষণেই সময় কাটাচ্ছেন তারা।

নিজ গ্রাহকদের সুরক্ষা দিতে ৮৩০ কোটি ডলার রিজার্ভ গঠনের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন জায়ান্ট জেপি মরগান চেজ। ৩৩০ কোটি ডলারের রিজার্ভ গঠনের ঘোষণা দিয়েছে ওয়েলস ফার্গো। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় এ দুটি ব্যাংকই নভেল করোনাভাইরাসে বিধ্বস্ত গ্রাহকদের টেনে তোলার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। স্থবির অর্থনীতিতে খেলাপি ঋণের অভিঘাত সামলানোর প্রস্তুতিও নিচ্ছে ব্যাংক দুটি। একই ধরনের প্রস্তুতির কথা জানাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যাংকগুলোও।

এক্ষেত্রে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর পরিস্থিতি একেবারেই উল্টো। নগদ অর্থ জমা-উত্তোলনের মতো সেবা দিতেই নাকাল পরিস্থিতিতে পড়েছে দেশের বেশির ভাগ ব্যাংক। সরকারি কর্মীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ আর জনগণের কাছে সরকারি সেবা পৌঁছে দিতেই লেজেগোবরে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে। বিদ্যমান অচলাবস্থা ও করোনাপরবর্তী পরিস্থিতিতে ঋণগ্রহীতাদের টেনে তোলার চিন্তাও দেখা যাচ্ছে না ব্যাংকারদের মধ্যে।

এখন পর্যন্ত ঋণগ্রহীতা গ্রাহকদের বিষয়ে কোনো ঘোষণা আসেনি দেশের কোনো ব্যাংক থেকে। পরিস্থিতি নিয়ে ডিজিটাল মাধ্যমে কিংবা অন্য কোনো উপায়ে দেশের কোনো ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভা হয়েছে—এমন তথ্যও শোনা যায়নি। দেশের অন্তত এক ডজন ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সঙ্গে কথা বলেও এ বিষয়ে কোনো নিজস্ব চিন্তা-ভাবনার কথাও জানা যায়নি। বেশির ভাগ ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীই বলেছেন, এখন ঝড় চলছে। আগে ঝড় থামুক। পরে দেখা যাবে, কী করা যায়।

বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ কিংবা শীর্ষ নির্বাহীদের মনোভাবের বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের উদ্যোক্তা শ্রেণীর সামাজিক দর্শনের মধ্যে মানবসেবা করার মনোবৃত্তি খুবই কম। ভারতসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে বড় করপোরেট ও ধনী শ্রেণী যেভাবে নভেল করোনাভাইরাস মোকাবেলায় এগিয়ে এসেছে, সেভাবে আমাদের দেশে দেখা যাচ্ছে না। ব্যাংকগুলোর উদ্যোক্তারা চাইবেন বছর শেষে বড় মুনাফা। এক্ষেত্রে সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়টি অনেকাংশেই লোক দেখানো। ব্যাংকারদের যে কোনো কিছু ভাবতে হলে অবশ্যই উদ্যোক্তাদের মনোভাব বুঝে এগোতে হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও