বিশ্বে এ পর্যন্ত ২৪ লাখের বেশি মানুষের কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে, আর সেরে উঠেছেন ৬ লাখ ৩৬ হাজার রোগী।কিন্তু এই ভাইরাস একবার শরীরে বাসা বাঁধলে কতদিন লাগছে সুস্থ হতে?বিবিসির এক প্রতিবেদন বলছে, একজন রোগীর সুস্থ হতে কত সময় লাগবে তা নির্ভর করবে ভাইরাসের সংক্রমণে তার শরীর কতটা কাবু হচ্ছে তার ওপর।কেউ কেউ দ্রুতই সুস্থ হয়ে ওঠেন। আবার কিছু রোগীর ক্ষেত্রে নানা রকম শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে, যা চলতে পারে চলতে পারে অনেক দিন।বয়স, লিঙ্গ এবং অন্যান্য স্বাস্থগত জটিলতাও কোভিড-১৯ রোগে গভীর প্রভাব রাখে। উপসর্গ মৃদু হলেমৃদু অসুস্থ রোগীরা দ্রুত ও ভালোভাবেই সুস্থ হয়ে ওঠেন। কোভিড-১৯ রোগীদের নানা উপসর্গ বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অধিকাংশের ক্ষেত্রে কাশি ও জ্বরের মত সাধারণ কিছু লক্ষণ দেখা দেয়।তব কারো কারো ক্ষেত্রে গায়ে ব্যথা, ক্লান্তি, গলাব্যথা বা মাথাব্যথাও হতে পারে।শুরুতে অনেকেরই শুনো কাশি হতে পারে। তবে শ্বাসতন্ত্রে ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকলে কাশির সাথে ফুসফুসের মরা কোষও বেড়িয়ে আসতে পারে।এমন শারীরিক অবস্থায় বিশ্রাম নেওয়ার পাশাপাশি প্রচুর পানি ও তরল খাবার খেতে হবে। ব্যথা কমাতে ওষুধ হিসেবে প্যারাসিটামলও দেওয়া হতে পারে।উপসর্গ মৃদু হলে সাধারণত এক সপ্তাহের মধ্যেই জ্বর কমে যায়, তবে কফ থাকতে পারে আরো কিছুদিন।চীনা রোগীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, মৃদু সংক্রমণের ক্ষেত্রে সেখানে রোগীদের সেরে উঠতে গড়ে দুই সপ্তাহের মত সময় লেগেছে।অসুস্থতা যদি গুরুতর হয়নতুন এ ভাইরাস কাউকে কাউকে অনেক বেশি কাবু করে ফেলতে পারে। সাধারণত সংক্রমণের পর সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে তাদের পরিস্থিতি খারাপের দিকে যায়। আর তা হয় হঠাৎ করেই।তখন রোগীল শ্বাস-প্রশ্বাসে জটিলতা দেখা দিতে পারে, ফুসফুসে পানি জমতে পারে।শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা লড়াই চালিয়ে গেলেও অ্যান্টিবডি ও ভাইরাসের এই যুদ্ধে ফুসফুসের অনেক কোষ মারা যায়। তাতে ফুসফুস কিছুটা কমজোরি হয়ে ওঠে বলে আগের তুলনায় বেশি অসুস্থ বোধ করেন রোগী। এই অবস্থায় শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে অনেক রোগীকে অক্সিজেন দেওয়া হয়।ব্রিটিশ চিকিৎসক সারাহ জারভিস বলেন, শ্বাসকষ্টের জটিলতা সারতে একটু সময় লাগতে পারে।এ ধরনের রোগীর ধকল কাটিয়ে উঠতে দুই থেকে আট সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। তবে ক্লান্তি আর দুর্বলতা থেকে যেতে পারে আরও কিছুদিন। যদি আইসিইউ লাগে?এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, প্রতি ২০ জনে একজন রোগীকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।এ সময় রোগীর শ্বাস-প্রশাস স্বাভাবিক রাখতে ভেন্টিলেটরও ব্যবহার করতে হতে পারে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.