সরকারের ‘দ্বৈত নীতির’ কারণে লকডাউন ব্যর্থ

ডয়েচ ভেল (জার্মানী) প্রকাশিত: ১৯ এপ্রিল ২০২০, ২০:০৭

এ পর্যন্ত দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৫৫ জেলায় করোনা সংক্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে৷ জেলাগুলো লকডডাউন করা হয়েছে৷ এছাড়া ঢাকায় এখন পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে শতাধিক এলাকা লকডাউন করা হয়েছে৷ কিন্তু লকডাউন কোনো কাজেই আসছে না৷ রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ জনসমাগমের বিভিন্ন স্থানগুলোতে কোন কড়াকড়ি নেই৷ এসব জায়গায় সামাজিক দূরত্বের কোন বিধিনিষেধ মানা হচ্ছে না৷ প্রিভেন্টিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. লেনিন চৌধুরী মনে করেন সরকার আসলে লকডউন কার্যকর করতে পারছে না আইন প্রয়োগে দ্বৈত নীতির কারণে৷ তিনি বলেন, ‘‘খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণপরিবহণ চালু রেখে সাধারণ ছুটি, পোশাক শ্রমিকদের ঢাকায় আনা, ফেনীতে দোয়া মাহফিল এবং সর্বশেষ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমরা সেই দ্বৈত নীতিই দেখলাম৷ হাজার হাজার থেকে লাখ লাখ লোকের সমাগম ঘটল৷ তাহলে এই লকডাউনের কোনো মানে আছে? আমাদের অর্থনীতির এত বিরাট ক্ষতি করে আমরা লকডাউন করছি কেন? উদ্দেশ্যতো সফল হচ্ছে না৷ সরকারতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে লকডাউনে ছাড় দিচ্ছে৷ আর সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকতে বলছে৷’’ তিনি বলেন, ‘‘সামাজিক বিচ্ছিন্নতা ও লকডাউনের মাধ্যমে করোনা প্রতিরোধ আমাদের এখানে হবে না৷ আমরা এখন চতুর্থ পর্যায়ে আছি৷ ভাইরাসের একটা বৈশিষ্ট্য হলে সে জেনারেশন পরিবর্তনের সাথে সাথে দুর্বল হয়ে পড়ে৷ আর ৬০ ভাগ মানুষ যখন আক্রান্ত হয় তখন প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে৷ আমাদের মনে হয় এখন করোনা ভাইরাসের চরিত্রের ওপরই ভরসা করতে হবে৷ আর কোনো উপায় নেই৷ আর সেটা যদি না হয় তাহলে আমাদের চরম মূল্য দিতে হবে৷’’ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে ঘর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সরকার৷ এছাড়া সন্ধ্যা ছয়টা থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে৷ সাধারণভাবে সকাল ছয়টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত গলির দোকানপাট এবং বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত সুপারশপ ও স্বীকৃত কাঁচাবাজার খোলা রাখা যাবে৷ কিন্তু সেখানে যারা যাবেন তাদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে৷ সারাদেশে যানবাহন চলাচলও বন্ধ আছে৷ কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় হরহামেশাই এইসব নিয়মের বরখেলাপ ঘটছে৷ যদিও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং ভ্রাম্যমান আদালত দায়িত্ব পালন করছে৷ নিয়ম না মানায় ঢাকায় ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত তিন হাজার ৪৪৫টি মামলা হয়েছে৷ জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৬৩ লাখ ৪১ হাজার টাকা৷ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, ‘‘আমরা চেষ্টা করছি সবাই যাতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হন তা মানাতে৷ কিন্তু এখানে সাধারণ মানুষেরও দায়িত্ব আছে৷ তাদেরও সচেতন হতে হবে৷ আমরা শাস্তিও দিচ্ছি৷ কিন্তু শুধু শাস্তি দিয়ে এই ধরনের পরিস্থিতি মেকাবিলা করা যায় না৷’’ তিনি বলেন, ‘‘জনসমাগম ঠেকানো না গেলে করোনা বেশি ছড়াবে৷ এটা যদি মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বুঝতে হয় তাহলে অনেক কঠিন৷’’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও