কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

আমার নিজের জানাজায় দু’চার জনের বেশি লাগবে না : ব্যারিস্টার সুমন

জাগো নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ১৯ এপ্রিল ২০২০, ১৪:১৪

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের ঝুঁকি সত্ত্বেও লকডাউন উপেক্ষা করে ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় মাওলানা জুবায়ের আহমেদ আনসারীর জানাজায় লাখো মানুষের উপস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন। তিনি বলেছেন, এখন যদি আমার মৃত্যু হয় এবং নিজের জানাজাও হয়, দু-চারজনের বেশি মানুষ লাগবে না। শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন মাওলানা জুবায়ের আহমেদ আনসারী। লকডাউন অমান্য করে তার জানাজায় লাখো মানুষের ঢল নামে। এতে করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। শনিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল ফেসবুক লাইভে আসেন ব্যারিস্টার সুমন। এ সময় ঝুঁকি সত্ত্বেও মাওলানা জুবায়ের আহমেদ আনসারীর জানাজায় লোক সমাগ‌মের বিষ‌য়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিজেরও আনসারী সাহেবের জানাযায় যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু দেশে এখন মহামারি। মহামারির সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন চলছে। প্রিয় নবীর একটি বাণীর কথা স্মরণ করে আমি জানাজায় যায়নি। প্রিয় নবী (সা.) বলেছেন, কোনো এলাকায় মহামারি দেখা দিলে আপনি যে জায়গায় আছেন, সেখানেই থাকবেন। অন্য কোনো জায়গায় যাবেন না। অন্য জায়গা থেকেও মহামারি এলাকায় আসতে দেবেন না।’ ‘এই লকডাউন অবস্থায় জানাজায় লাখ লাখ মানুষ দেখে আমার খুব খারাপ লেগেছে। আপনি বাসায় দুই রাকাত নামাজ পড়েও তার প্রতি সম্মান দেখাতে পারতেন। এ রকম একটা মহামারির সময় আপনারা লকডাউন ভঙ্গ করে পুরো ব্রাক্ষণবাড়িয়া, সিলেট অঞ্চল অরক্ষিত করে দিলেন। করোনাভাইরাস বিস্তারের সুযোগ করে দিলেন। করোনা তো এখন পুরো জায়গা দখল করে নেবে। এর থেকে কষ্টের কিছু নেই। প্লিজ, আপনারা আর এ রকম করবেন না।’ এ সময় ব্যারিস্টার সুমন আবেগতাড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘এখন যদি আমার নিজের জানাজাও হয়, দু’চারজনের বেশি লাগবে না। এটা আমার এলাকার মানুষদেরকেও বলছি। কারণ আমি তো দুনিয়া থেকে বিদায় নিচ্ছি, যাতে আমার কারণে, আমার জানাজায় এসে অন্য কোনো মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত না হন।’ এদিকে করোনায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা জুবায়ের আহমেদ আনসারীর জানাজায় লোক সমাগমের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে না পারায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের সহকারী পুলিশ সুপারকে (সার্কেল এএসপি) প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে পুলিশ সদর দফতর। এ ঘটনায় গঠিত কমিটির সদস্য ও প্রতিবেদন প্রদানের সময় পরবর্তীতে জানিয়ে দেয়া হবে। শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিজ বাসভবনে মাওলানা আনসারীর মৃত্যুর পরই এমন লোক সমাগমের বিষয়টি আঁচ করা যাচ্ছিল। কিন্তু পরিস্থিতির এমন আশঙ্কা করলেও যথাযথ ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় সরাইলের ওসি, সার্কেল এএসপি এবং একজন ইন্সপেক্টর (তদন্ত) প্রত্যাহার করা হয়েছে। যদিও সরাইল উপজেলার বেড়তলা এলাকার জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা মাঠে মাওলানা আনসারীর জানাজায় জনস্রোত নামার বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, পুলিশের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু জানাজায় শরিক হওয়া থেকে মানুষকে নিভৃত করা সম্ভব হয়নি। ঘটনার পর সরাইলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহাদাত হোসেন বলেন, ‘জানাজায় এত মানুষ হবে আমরা বুঝতে পারিনি। লোকজন আসতে শুরু করার পর আমাদের আর কিছু করার ছিল না।’ করোনার বিস্তারের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার একদিন আগে বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) ‘গোটা দেশকে ঝুঁকিপূর্ণ’ ঘোষণা করে সরকার। শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাওলানা আনসারীর জানাজায় হাজার হাজার মানুষকে শরিক হতে দেখা যায়। লকডাউন উপেক্ষা করে এত মানুষের সমাগম করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিকে অনেক বেশি বাড়িয়ে দিল বলে মনে করা হচ্ছে। জানাজার ছবি ভাইরাল হতেই বিভিন্ন পর্যায়ে সমালোচনা শুরু হয়। এমন পরিস্থিতিতে অনেকে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও