কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

করোনা-অনিশ্চয়তার কবলে দেশের ১০ বড় প্রকল্প

প্রথম আলো প্রকাশিত: ১৯ এপ্রিল ২০২০, ০৯:০০

নতুন করোনাভাইরাসের আগ্রাসনে বিশ্বজোড়া দুর্যোগের জেরে ধুঁকছে দেশের বিদ্যুৎ ও অবকাঠামো খাতের ১০টি বড় ও আলোচিত প্রকল্প। ৫টির কাজ বন্ধ হয়ে গেছে, ৫টির কাজ ঝিমিয়ে পড়েছে। ফলে প্রকল্পগুলো সময়মতো শেষ হওয়ার ব্যাপারে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বড় প্রকল্পগুলো অনেকটাই বহুজাতিক। প্রকল্পের অর্থায়ন, বেশির ভাগ মালামাল, ঠিকাদার, পরামর্শক ও গুরুত্বপূর্ণ প্রকৌশলীরা বিদেশি। বিদেশিরা না থাকলে কাজ চলে না। আবার দেশীয় কর্মী ছাড়া বিদেশিরা বেকার। মালামাল না এলেও কাজ বন্ধ থাকে। করোনার কারণে বিদেশি কর্মী ও কর্মকর্তাদের একাংশ বাংলাদেশ ছেড়েছেন। অধিকাংশ দেশি কর্মী বাড়ি চলে গেছেন। মালামালে টান পড়েছে। এই ১০টি বড় প্রকল্প সেতু, সড়ক, রেল আর বিদ্যুৎ খাতের। এগুলোর মোট ব্যয় ৩ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকা। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর এসব প্রকল্প নেওয়া হয়। এমনিতেই নানা কারণে প্রায় সব প্রকল্পের কাজ পরিকল্পনা অনুসারে গতি পায়নি। ফলে সময় ও ব্যয় বেড়েছে। এখন নতুন যোগ হলো করোনা-অনিশ্চয়তা। ১০ প্রকল্পের ৩টি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের। এগুলো হচ্ছে—মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু ও কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ প্রকল্প। প্রথমটির কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। বাকি দুটির কাজ কিছুটা কমে গেছে। এই তিন প্রকল্পের মোট ব্যয় ৬০ হাজার কোটি টাকার বেশি। আরও তিনটি বড় প্রকল্প রয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের। এগুলো হচ্ছে—পদ্মা সেতুর দুই পারে রেললাইন নির্মাণ, চট্টগ্রামের দোহাজারী-কক্সবাজার নতুন রেললাইন নির্মাণ এবং আখাউড়া-লাকসাম মিশ্রগেজ ডবল লাইন নির্মাণ। প্রথমটির কাজ সীমিতভাবে চলছে, বাকি দুটি বন্ধ হয়ে গেছে। এই তিন প্রকল্পের ব্যয় প্রায় ৬৪ হাজার কোটি টাকা। সড়ক ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, চীনা কর্মী ও প্রকৌশলীদের বড় অংশই বাংলাদেশে আছেন। চীন থেকে এখন মালামালও আসছে। ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, কোরিয়াসহ অন্য বিদেশিদের অনেকেই চলে গেছেন। অনেক দেশ থেকে মালামাল আসছে না। ফলে আটকে গেছে কাজ। ১০ বড় প্রকল্পের বাকি চারটি বিদ্যুৎ খাতের। এগুলো হচ্ছে—পায়রা, রামপাল, মাতারবাড়ীতে কয়লাভিত্তিক এবং রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রকল্প। প্রথম দুটির কাজ বন্ধ আছে। চার প্রকল্পের মোট ব্যয় প্রায় ১ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা, যার দুই-তৃতীয়াংশ রূপপুরের জন্য।মাতারবাড়ী ও রূপপুরে বাংলাদেশি কর্মীরা কাজ বন্ধ রাখার দাবি তুলেছেন। প্রকল্প দুটির কর্তৃপক্ষ এখনো সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ প্রথম আলোকে বলেছেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে তাঁর মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পগুলোর কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এ সময় শ্রমিকেরা বেতন পাবেন, কারও চাকরি যাবে না। বড় প্রকল্পের অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে কাজ করেন সাবেক সচিব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তাঁর মতে, প্রকল্প ঝুলে গিয়ে ব্যয় বাড়ার বিদ্যমান প্রবণতাটি করোনা পরিস্থিতিতে আরও বাড়তে পারে। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, অর্থনীতির ওপর চাপ কমাতে হলে কাজগুলো পর্যায়ক্রমে চালু করার উপায় ভাবতেই হবে। শ্রমিকদের নির্দিষ্ট এলাকায় রেখে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করিয়ে হলেও কাজ শুরু করতে হবে। মাতারবাড়ীতে কর্তৃপক্ষ অটল শ্রমিকদের দাবি অগ্রাহ্য করে কক্সবাজারের মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। কেন্দ্রটির দায়িত্বে আছে সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতিষ্ঠান কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল)। সেখানে এখন প্রায় ৩ হাজার শ্রমিক কাজ করছেন। বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকাটি লকডাউনের দাবিতে ৯ ও ১০ এপ্রিল শ্রমিকদের একাংশ কাজ বন্ধ রেখেছিল। তবে সিপিজিসিবিএল এ দাবিকে পাত্তা দেয়নি। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ধর্মঘটে যাওয়া শ্রমিকেরা আরও বলেছিলেন, লকডাউন অবস্থায় প্রত্যেককে তিন মাস বেতন দিতে হবে এবং কাউকে ছাঁটাই করা যাবে না। সিপিজিসিবিএলের নির্বাহী পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সেখানে শ্রমিক অসন্তোষ নেই। মাতারবাড়ীতে রাতদিন ২৪ ঘণ্টা কাজ হচ্ছে। কাজ চলবে।’ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদনক্ষমতা হবে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। বাংলাদেশ সরকার ও জাপান সরকারের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা জাইকার অর্থায়নে চলা প্রকল্পটিতে একটি বন্দর নির্মাণও অন্তর্ভুক্ত। প্রকল্পের শুরু ২০১৪ সালে। নির্মাণকাজের ঠিকাদার নিয়োগ হয় ২০১৭ সাল। ২০২৪ সালে কেন্দ্রটি উৎপাদনে যাওয়ার কথা। রূপপুরে কাজ ‘এগিয়ে চলেছে’ পাবনা জেলার ঈশ্বরদীতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য রুশ ফেডারেশনের সরকারি সংস্থা রাশিয়ান স্টেট অ্যাটমিক এনার্জি করপোরেশনের (রোসাটম) সঙ্গে চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ। কেন্দ্রটি নির্মাণের ঠিকাদার হচ্ছে রোসাটমের সহযোগী প্রতিষ্ঠান অ্যাটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট। রোসাটম ১২ এপ্রিল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ পর্যন্ত সম্পন্ন হওয়া কাজের বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে বলেছে, করোনাকালেও প্রকল্পের নির্মাণকাজ এগিয়ে চলছে। তবে গত ২৬ মার্চ প্রকল্পের একজন বেলারুশি কর্মকর্তার জ্বর ও গলাব্যথা হলে, ঈশ্বরদী সদরে তিনিসহ বিদেশি কর্মকর্তাদের ভাড়া বাড়িটি স্থানীয় প্রশাসন লকডাউন করে দেয়। এক দিন পরেই অবশ্য রোসাটমের দক্ষিণ এশিয়া কার্যালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলে, ওই কর্মকর্তার নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়নি

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও