১৯ বছর কলকাতার যে বাড়িতে ছিলেন খুনি মাজেদ
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পলাতক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের মধ্যে অন্যতম ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আব্দুল মাজেদ। তার নামে ইন্টারপোলে ছিল রেড অ্যালার্ট। দীর্ঘ ২৩ বছর আত্মগোপনে থাকা সেই মাজেদ বাংলাদেশ থেকে গ্রেফতার হন ৬ এপ্রিল রাতে। পরে জানা যায়, তিনি পালিয়ে ছিলেন ভারতে। ১১ এপ্রিল দিনগত রাত ১২টা ১ মিনিটে তার ফাঁসি কার্যকর হয়। কিন্তু ভারতের কোথায় তিনি আত্মগোপন করে ছিলেন তা অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা যায় পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার রিপন স্ট্রিটের বেডফোর্ড লেনের কথা। এখানকার কোনো একটি বাড়িতে থাকতেন মাজেদ। কিন্তু বেডফোর্ড লেন মোটেও ছোট জায়গা নয়। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় জানা যায় ঠিক কোন বাড়িটিতে আত্মগোপনে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর এই আত্মস্বীকৃত খুনি। যদিও মাজেদের বাড়ির গায়ের বাড়ির লোকটিও প্রথমে ছবি দেখে চেনেন না বলে জানান। মূলত জায়গাটিতে অবাঙালি মুসলিম অধ্যুষিত। এখানকার অধিকাংশ মানুষ তাবলিগ জামাতের সঙ্গে জড়িত। এমনকি দিল্লির মসজিদের যে গণজমায়েত থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছিল সেই জমায়েতে ছিলেন এখানকার অনেকে। তারপর থেকে করোনার রেড জোন ঘোষণা করে পুরোপুরি লকডাউন। তবু কলকাতা পুলিশের সহায়তায় ঢোকা যায় এলাকায়। যে বাড়িতে মাজেদ থাকতেন সে বাড়ির মালিকের নাম শফিক। বাড়িটি চারতলা। প্রতি তলায় চারটি করে রুম। বাইরে কোনো প্লাস্টার নেই, ইট খসে পড়ছে। ভিতরের অবস্থাও একই। সিঁড়ি বেয়ে দোতলায় উঠে দেখা যায় মাজেদ যেখানে থাকতেন সে রুমে তালা ঝোলানো। দরজায় আবার কলাপসিবল গেট। ভিতরে পর্দা। শফিক জানান, তার বাড়ির দোতলায় পরিবার নিয়ে থাকতেন আব্দুল মাজেদ। পরিবার বলতে মাজেদের চেয়ে ৩২ বছরের ছোট স্ত্রী সেলিনা বেগম ও তাদের ছয় বছরের মেয়ে। বিয়ের আগে তালতলার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন মাজেদ। বিয়ের পর তার বাসায় ওঠেন।