বন্ধ হতে পারে দেশের ৫০ শতাংশ হার্ডওয়্যার-সফটওয়্যার কোম্পানি
করোনা পরিস্থিতিতে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত প্রায় বন্ধের উপক্রম। হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার খাত আপাতত বন্ধ। কল সেন্টারের কাজ কমেছে ৩৫ শতাংশ। ই-কমার্স সীমিত হয়ে পড়েছে ঢাকার মধ্যে। অনলাইন ফ্রিল্যান্সিংয়েও কোনও সুখবর নেই। কেবল জরুরি সেবা হিসেবে চালু আছে টেলিযোগাযোগ খাত। মোবাইলের ভয়েস ও ইন্টারনেট সেবা চালু এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু থাকলেও কেবল মোবাইল ইন্টারনেটেই কিছুটা প্রবৃদ্ধি হয়েছে। অন্যদিকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ব্যবহার কমেছে।
তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, করোনাভাইরাসের কারণে দেশ যে সংকটকাল অতিক্রম করছে তা এই খাতকে একেবারে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবে। সেখান থেকে উত্তরণের জন্য এ খাতে অন্তত দুই হাজার কোটি টাকা
প্রয়োজন। সরকার যদি এই খাতে দুই হাজার কোটি টাকা অনুদান বা প্রণোদনা দিয়ে সহায়তা করে, তাহলে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। একই সঙ্গে কয়েকটি সংগঠন সরকারের কাছে দুই শতাংশ সরল সুদে জামানতবিহীন দীর্ঘমেয়াদি ঋণও চেয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ খাতে অনুদান না পেলে দেশের মোট সফটওয়্যার কোম্পানির অর্ধেক বন্ধ হয়ে যাবে, বন্ধ হয়ে যাবে অনেক হার্ডওয়্যার কোম্পানিও (মোবাইল ফোনসহ)। যারা টিকে থাকবে তারা প্রচুর কর্মী ছাঁটাই করবে। যারা চাকরিতে থাকবে তাদের বেতন বকেয়া পড়বে, বেকারত্বের সংখ্যা বাড়বে। দক্ষকর্মীর সংকট তৈরি হবে। ব্যবসায়িক ঠিকানার ভাড়া বাকি পড়বে, অনেক স্থানীয় আইএসপি (পাড়ামহল্লার ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান) বন্ধ হয়ে যাবে, কলসেন্টারের কাজ কমবে। সার্বিকভাবে এই শিল্পে অন্ধকার নেমে আসবে। তবে ভিন্ন চিত্র দেখা যাবে কেবল টেলিযোগাযোগ খাতে।