কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

নিউইয়র্কে যে কারণে এত বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত

প্রথম আলো প্রকাশিত: ০৮ এপ্রিল ২০২০, ১২:৩৬

করোনাভাইরাসে আমেরিকার পরিস্থিতি সবচেয়ে নাজুক। আমেরিকার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা নিউইয়র্কের। লকডাউনের পর নিউইয়র্কের হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কিছুটা কমেছে। তবে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। করোনার ছোবলে নিউইয়র্কে অভিবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশিরাই বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। বহু জাতিগোষ্ঠীর নিউইয়র্ক নগরীতে প্রতিদিন দেশের মানুষের মৃত্যুর খবর আসছে। ৭ এপ্রিল মায়নুল হক জুয়েল ও আকমল হোসেনসহ আমেরিকায় ৮৪ জন বাংলাদেশির মৃত্যুর হিসাব পাওয়া গেছে। নিউইয়র্কসহ আমেরিকার কোথাও সরকারিভাবে এই তথ্য প্রকাশ হয়নি। কমিউনিটি যোগাযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশিদের মৃত্যুর সংখ্যা পাওয়া যাচ্ছে। এ সংখ্যা কিছুটা এদিক-সেদিক হতে পারে। করোনায় এত প্রবাসীর আক্রান্ত ও মারা যাওয়ার ঘটনা বাংলাদেশি মানুষের ব্যাপকভাবে আতঙ্কগ্রস্ত করে ফেলেছে। এই ভাইরাসের কারণে কেন এত বাংলাদেশির মৃত্যু, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছে প্রথম আলো উত্তর আমেরিকা। এত আক্রান্ত হওয়া ও মৃত্যুর পেছনে অভিবাসী হিসেবে বাংলাদেশিদের কর্মজীবন, সচেতনতার অভাব, এমনকি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনাচরণ দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। জীবিকার তাগিদে বাইরে যাওয়া বা একসঙ্গে জমায়েত হয়ে বাজার, আড্ডা ও রাজনীতির কথাবার্তা নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম বাংলাদেশি কমিউনিটিতে অন্যদের চেয়ে বেশি লক্ষ করা গেছে। লকডাউন জারির আগে নিউইয়র্কে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবরে সবাই যখন আতঙ্কিত, তখনো প্রবাসীরা কোনো ধরনের সচেতনতা, প্রচার বা প্রস্তুতিতে যোগ দেননি। নিউইয়র্কে বাংলাদেশি সংগঠন আছে কয়েক শ। সংগঠনগুলোর অনেকে করোনার প্রাদুর্ভাবের সময়ও একসঙ্গে নির্বাচনী প্রচার থেকে শুরু করে চায়ের আড্ডায়, রেস্তোরাঁয় বসে সভা-সমাবেশ করেছেন। ফলে এখন অনেকেই ভুলের মাশুল দিচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে। অনেকে নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলেছেন। অনেকে হারিয়েছেন স্বজন। এশিয়ার অন্যান্য দেশ যেমন ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এমনকি চীনা প্রবাসীদের আক্রান্ত হওয়া ও মারা যাওয়ার হার বাংলাদেশিদের চেয়ে অনেক কম। এর অন্যতম কারণ শিক্ষা ও উন্নত জীবনধারায় বাংলাদেশি প্রবাসীরা অনেকটা পিছিয়ে। এ ছাড়া বাংলাদেশি প্রবাসীদের বেশির ভাগ এখনো ভারত ও পাকিস্তানের প্রবাসীদের মতো ভালো চাকরি বা উন্নত জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারেননি। বেশির ভাগ প্রবাসী ক্যাব, রেস্টুরেন্ট, ডেলিভারি এসব চাকরি করেন। এমনকি দিন শেষে কাজ করে চায়ের আড্ডা ও ঘরে গাদাগাদি করে থাকার বিষয়টিকে একটি কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। নিউইয়র্কে বসবাসরত একাধিক বাংলাদেশি চিকিৎসক ও সমাজভাবনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি এমনই অভিমত প্রকাশ করেছেন। প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার পক্ষ থেকে এ বিষয় নিয়ে কথা হয় নিউইয়র্কের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশি আমেরিকান চিকিৎসক ফেরদৌস খন্দকারের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমেরিকায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতিতে বিলম্ব ছিল। এর ভয়াবহতার সাবধানবাণী আমাদের কমিউনিটির কাছে অনেক আগে পৌঁছেনি। ভাইরাসটির আক্রমণে আমাদের লোকজন শুরুতে আক্রান্ত হওয়ার কারণ, নিউইয়র্কে বাংলাদেশিদের বড় অংশ সামনের সারিতে কাজ করা কর্মজীবী। এর মধ্যে ক্যাবচালক, হোটেল-রেস্তোরাঁর কর্মী, গ্যাসস্টেশনের কর্মীরাও রয়েছেন। দেখা যাচ্ছে, ২৫ থেকে ৬০ বছরের নিচের বয়সের বাংলাদেশিরা শুরুতেই আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। একই এলাকায় বসবাসরত ভারতীয় বা অন্যান্য উপমহাদেশীয় অভিবাসী কর্মজীবীরা অনেকটা পরবর্তী ধাপে কাজ করছেন বেশি সংখ্যায়। ভাইরাসের প্রথম আক্রমণের শিকার বাংলাদেশি কর্মজীবীদের মাধ্যমে পরিবারের লোকজন আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। প্রবাসেও আমাদের অনেক পরিবারই একান্নবর্তী।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে