অবশেষে খুলনা থেকে ঢাকা ফিরছে অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন ছবির প্রায় ৭০ জনের শুটিং দলটি। গতকাল শনিবার সকালে খুলনার নতুন বাজার থেকে শুটিং দল বহন করা লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। ছবিটির পরিচালক জানিয়েছেন, তাঁরা চাঁদপুর অতিক্রম করেছেন। ঢাকা আসতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে। ছবিটির প্রযোজকদের একজন মুশফিকুর রহমানও মুঠোফোনে জানিয়েছেন, তাঁরা এখন পথে। আজ সন্ধ্যার দিকে ঢাকার সদরঘাটে পৌঁছাতে পারবেন বলে আশা করছেন। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী, বিআইডব্লিউটিএ–এর চেয়ারমান ও পরিচালক, খুলনা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারের সহযোগিতায় ফেরা সম্ভব হচ্ছে বলে তিনি জানান। মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘কয়েক দিন ধরেই আমরা ফেরার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু লঞ্চের মালিক এই বন্ধের মধ্যে অনুমতিপত্র ছাড়া লঞ্চ ছাড়তে রাজি হননি। যেহেতু এখন সাধারণ ছুটি চলছে, তাই কোনো অনুমতিপত্রও নিতে পারছিলাম না। পরে সিদ্ধান্ত নিই বাসে করে ফিরব। কিন্তু এত মানুষ বাসে আসতে গেলে ঝুঁকি থাকতে পারে বলে ইউনিটের অনেকে রাজি হননি। বিভিন্ন জায়গায় কথাবার্তা বলে অবশেষে নৌপরিববহন প্রতিমন্ত্রী, বিআইডব্লিউটিএ–এর চেয়ারমান ও পরিচালক, খুলনা জেলা জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের অনুমতি নিয়ে যাত্রা শুরু করতে পেরেছি।’ এ ব্যাপারে খুলনা জেলার পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ (বিপিএম)–এর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি ও খুলনার জেলা প্রশাসক মিলে শুটিং ইউনিটকে ফেরার অনুমতি দিয়েছি। কারণ, লঞ্চের মালিক আমাদের অনুমতি ছাড়া লঞ্চ ছাড়তে চাননি। এ কারণে তাঁরা বাসে ফিরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ইউনিটে বেশ কিছু শিশু আছে, বাসে ফেরাটা ঝুঁকি ছিল। মানবিক কারণেই লঞ্চটি ছাড়ার অনুমতি দিয়েছি।’ অনুমতির ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ–এর পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, নৌ ও পরিবহন প্রতিমন্ত্রী, বিআইডব্লিউটিএ–এর চেয়ারম্যানের নির্দেশনায় আজ সকালে তাঁদের বিশেষ ব্যবস্থায় খুলনা থেকে ছেড়ে আসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দুটি শর্ত দিয়ে অনুমতি দেওয়া হয়েছে—প্রথমত, লঞ্চ রাতে চলতে পারবে না। দ্বিতীয়ত, রাতে যেখানে অবস্থান করবে, সেখানে লঞ্চ থেকে কেউ নামতে পারবে না, নতুন কেউ উঠতেও পারবে না। তিনি আরও জানান, সন্ধ্যার মধ্যে ঢাকার সদরঘাটে পৌঁছাবে লঞ্চটি। সদরঘাটের লালকুঠি ঘাটে কোস্টগার্ড ও স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন উপস্থিত থাকবেন। তবে নামার সময় কোনো স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়নি। কারণ, লঞ্চে তাঁরা ১৪ দিনেরও বেশি দিন অবস্থান করেছেন। এমনিতেই কোয়ারেন্টিন হয়ে গেছে। ১৪ দিনের কম হলে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হতো। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমাকে অভিনেতা শহিদুল আলম সাচ্চু ফোন দিয়েছিলেন বিষয়টি দেখার জন্য। যেহেতু তাঁরা আটকে পড়েছিলেন, তাই আমি বিআইডব্লিউটিএ–এর চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে সহযোগিতার কথা বলে দিয়েছি।’ ছবির পরিচালক আবু রায়হান জানালেন, তাঁরা ফিরছেন। এখন চাঁদপুর পার হয়েছেন। আসতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘শুটিং মূলত ২৭ মার্চ বন্ধ হয়েছে। ফিরতে না পারাতে কিছু ইনচার্ট শট নেওয়া হয়েছে এ কয়েক দিন। ২ এপ্রিল থেকে একেবারেই ক্যামেরা বন্ধ। শুটিং প্রায় ৭০ ভাগ শেষ হয়েছে। টানা কাজ করে ছবিটির শুটিং শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যে মাথায় চাপ নিয়ে ভালো কাজ হচ্ছিল না। তা ছাড়া সমিতিগুলো থেকেও সব ধরনের শুটিং বন্ধের নির্দেশনা আছে।’ পরিচালক জানালেন, বাকি কাজ আগামী জুন ও জুলাই মাসে শেষ করতে হবে। ছবিটিতে আরও অভিনয় করছেন পরীমনি, সিয়াম আহমেদ, তানভীর, আজাদ আবুল কালাম, শহিদুল আলম সাচ্চু, আশীষ খন্দকার প্রমুখ।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.