কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সমন্বিত অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নিতে জাতীয় টাস্কফোর্স গঠন করুন

বণিক বার্তা প্রকাশিত: ০৪ এপ্রিল ২০২০, ০১:০০

নভেল করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক সংক্রমণের প্রথম কয়েক মাসেই এটি পরিষ্কার যে সারা বিশ্ব আরেকটি অর্থনৈতিক মন্দার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। পোশাক রফতানির ওপর নির্ভরশীলতার কারণে বাংলাদেশও যে এই বৈশ্বিক মন্দার শিকার হবে, তা অনুমেয়। এ বছর আমাদের প্রবৃদ্ধি অর্জনের যে লক্ষ্যমাত্রা, তা-ও সম্ভব হবে না বলে প্রতীয়মান হয়। ফলে সবাই কমবেশি ভুগবে। কিন্তু নভেল করোনাভাইরাসের এ চ্যালেঞ্জ সামলাতে যদি কারখানা স্থবির হয়ে যায় এবং শ্রমিকদের বেতন বন্ধ হয় তাহলে সবচেয়ে বেশি ভুগবেন পোশাক শ্রমিকরা। তাদের প্রায় সবাই মাসিক বেতনের ওপর নির্ভরশীল। অধিকাংশ শ্রমিকেরই আপদ মোকাবেলার জন্য তেমন কোনো সঞ্চয় নেই, যা দিয়ে এই কঠিন সময় পার করবেন। ফলে জীবনধারণে চরম সংকটের মুখে পড়বেন তাদের সবাই। আশার কথা হলো, প্রধানমন্ত্রী এরই মধ্যে পোশাক শিল্পের কর্মীদের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণা দিয়েছেন। এখন যেটা করা দরকার তা হলো, এ টাকার সঠিক ও সময়োচিত ব্যবহার। বিজিএমইএকে এখন তার সাংগঠনিক দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। পোশাক ছাড়াও আরো অনেক শিল্প ও সেবা খাত রয়েছে দেশে। তেমন ১১টি ব্যবসায়ী সংগঠন জানিয়েছে, করোনার প্রভাব প্রশমনে তিন মাসেই প্রয়োজন ৩০ হাজার কোটি টাকা। কীভাবে এটি সামাল দেয়া যাবে, তা নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এ অর্থ সরকার দেবে নাকি বেসরকারি খাত ম্যানেজ করবে, তাও আলোচনার বিষয়। এমন অবস্থায় সরকারের উচিত করোনার অর্থনীতিক ও বাণিজ্যিক ক্ষতি পরিমাপে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা। সেখানে যেমন অর্থনীতিবিদ, নীতিনির্ধারক ও ব্যবসায়ীরা থাকবেন, তেমনি রাখতে হবে শ্রমিক প্রতিনিধি। সংশ্লিষ্ট ব্যবসার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগকে কীভাবে কাজে লাগানো যায়, তার পরিকল্পনাও কষতে হবে এখনই। করোনা কতদিন বাংলাদেশে থাকবে, তার ওপরও ক্ষতির পরিমাণ নির্ভর করছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত