করোনার মধ্যেই দেশে ফেরার আকুতি ঢাবি শিক্ষকের
সারাবিশ্বের এই সংকটকালীন মুহূর্তের মধ্যেই দেশে ফিরতে আকুতি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শিমুল হালদার। জাপানে আটকে পড়া ওই শিক্ষক ভিসি ও রেজিস্ট্রার বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, আমি ড. শিমুল হালদার, বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। আমার স্ত্রীর পিএইচডি গবেষণা করার কারণে একমাত্র ছেলেসহ বর্তমানে আমরা জাপানে অবস্থান করছি। আমরা গত ৮ জানুয়ারি জাপানে এসেছি। ছুটি শেষ হওয়ার পূর্বেই আমি দেশে ফেরার জন্য ৩০ মার্চের টিকিট নিশ্চিত করি। কিন্তু বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করার কারণে ১২ মার্চ ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ ই-মেইল করে ফ্লাইট বাতিলের কথা জানায়। এরপর আমি মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সে ২২ মার্চ ঢাকায় ফেরার জন্য পুনরায় টিকিট নিশ্চিত করি। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে ২১ মার্চ বাংলাদেশ সরকার ৩১ মার্চ পর্যন্ত সব যাত্রীবাহী বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এরই প্রেক্ষিতে আমি পুনরায় ৩ এপ্রিল মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সে টিকিট নিশ্চিত করি। পরবর্তীকবলে বিমান চলাচলের এই নিষেধাজ্ঞা আগামী ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করায় আমি এখানে এক অনিশ্চয়তায় দিন পার করছি। এ ছাড়া অধিকাংশ এয়ারলাইন্স বাংলাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য তাদের বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশ তথা বিশ্বে করোনার প্রাদুর্ভাব না কমা পর্যন্ত আমার পক্ষে ফেরা অসম্ভব মনে হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার আমাদের দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করলে আমরা নিজেদের অর্থেই দেশে ফিরতে ইচ্ছুক এবং এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের কোনো আর্থিক সংশ্লিষ্টতা লাগবে না। এই অবস্থায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনাকে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।