দেশের সংকটকালে গবেষণায় নেই গবেষণার শীর্ষ প্রতিষ্ঠান!
করোনা মোকাবেলায় সারাবিশ্বের নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নানা গবেষণাকর্ম পরিচালনা করলেও স্কোপাসের জরিপে দেশে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে গবেষণায় শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) দেশে সবচেয়ে সংকটে রয়েছে অনেকটা নিষ্ক্রিয় ভূমিকায়। ফার্মেসী বিভাগের উদ্যোগে স্যানিটাইজার তৈরি ছাড়া করোনা প্রতিরোধে বিশ্ববিদ্যালয়টির আর কোনো উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম চোখে পড়েনি। দেশের এই সংকটে বিশ্ববিদ্যালয়টির ফার্মেসী বিভাগ, জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগ, প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগগুলোর ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার সুযোগ থাকলেও এ সকল বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিভাগের মতো আছেন ছুটিতে!খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনাভাইরাস রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় উপাচার্য ভবনে অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে ঢাবি করোনাভাইরাস রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন কমিটির একটি জরুরি সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে।এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় ২০০টি করোনা পরীক্ষার সক্ষমতার কথা জানায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) কর্তৃপক্ষ। যবিপ্রবির জিনোম সেন্টার গবেষণাগারটি করোনা পরীক্ষার মানসম্পন্ন দাবি করে কর্তৃপক্ষ জানায়, করোনা পরীক্ষার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও দক্ষ লোকবল তাদের রয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে পরীক্ষার কিট ও নমুনা সরবরাহ করলেই একদিনেই শনাক্তের ফলাফল জানা যাবে। এ ধরনের কোনো কার্যক্রমও চোখে পড়েনি রাবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে।