চিংড়ি, জীবন্ত কাঁকড়া-কুচিয়া রপ্তানি বন্ধ, ক্ষতি ১ হাজার ৬০ কোটি টাকা
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে হিমায়িত চিংড়ি ও মাছ এবং জীবন্ত কাঁকড়া রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রপ্তানিকারকদের আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি হুমকির মুখে পড়েছে সাদা সোনা খ্যাত চিংড়ির এবং জীবন্ত কাঁকড়া ও কুচিয়া রপ্তানির ভবিষ্যত। করোনাভাইরাসের কারণে হিমায়িত চিংড়ি ও মাছের ২৯০টি ক্রয়াদেশ বাতিল হয়েছে। তাতে ৪৬০ কোটি টাকার রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্রেতারা নতুন ক্রয়াদেশ না দেওয়ায় ৯৯৯ কোটি টাকার হিমায়িত চিংড়ি ও মাছ অবিক্রীত পড়ে আছে। বাংলাদেশের শতভাগ রপ্তানি আয়ের অন্যতম কৃষিভিত্তিক খাত, প্রক্রিয়াজাতকৃত হিমায়িত চিংড়ি ও মাছ প্রক্রিয়াকরণ ১০৫ টি কারখানা আছে তার মধ্যে মাত্র ৩৫টি কারখানা রপ্তানিতে সক্রিয় রয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে হিমায়িত চিংড়ি ও মাছ রপ্তানি করে প্রায় ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা আয় করেছে। বর্তমানে এ খাতে প্রায় ৬০ লাখের অধিক মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জরিত থেকে জীবিকা নির্বাহ করছে। রপ্তানি আয়ে চিংড়ির পরেই জীবন্ত কাঁকড়ার অবস্থান। কাঁকড়া খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী এ চারটি জেলা থেকে সংগ্রহ করা হয়। করোনার কারণে রপ্তানি বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন জীবন্ত কাঁকড়া ও কুচিয়া রপ্তানিকারকরা। কুচিয়া সারা দেশ থেকেই সংগ্রহ করা হয়। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ফলে গত জানুয়ারি থেকে চীনে রপ্তানি বন্ধ থাকায় মজুদ করা বিপুল পরিমাণ কাঁকড়া ও কুচিয়া মারা যাওয়ায় প্রায় ৬০০ কোটি টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এ রপ্তানি খাত। কাঁকড়া ও কুচিয়া খাতে প্রায় ৪ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছে।