প্রেমিকের সর্বনাশে ভয়ানক সব সিদ্ধান্ত নেন কঙ্গনা!

বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। তার কথার আঘাত বিতর্ক সৃষ্টির বিশাল রসদ। ব্যক্তি গুণ বা যেকোনো বলয়ে বেফাঁস মন্তব্য করতে কুণ্ঠাবোধ করেন না তিনি। সোজাসাপ্টা কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে তার কোনো রাখঢাক নেই। সাবেক প্রেমিকদের জন্য জনপ্রিয় অভিনেত্রী একটি বিপদ। কারণ তাদের নিয়ে উল্টাপাল্টা বক্তব্য নাজেহালের জন্য যথেষ্ট বলে দাবি করা হয়। কিন্তু তারই বিরুদ্ধে রয়েছে ভয়াবহ সব অভিযোগ। প্রেমিক অধ্যয়ন সুমনের  ব্যক্তি সর্বনাশে ভয়ানক অনেক সিদ্ধান্ত নেন কঙ্গনা। অভিনেত্রী কালোজাদুর আশ্রয় নেন বলে দাবি অধ্যায়নের।   হৃতিক এবং আদিত্য পাঞ্চোলীর আগে প্রথম সিনেমা ‘রাজ-দ্য মিস্ট্রি কন্টিনিউ’র নায়ক হিসেবে কঙ্গনার সঙ্গে শেখর সুমনের ছেলে অধ্যয়ন সুমনের প্রেম হয়। ২০০৮ সালে শুরু হওয়া প্রেম লং ড্রাইভ এবং ডিনারে বেশ চলছিল। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সম্পর্কে তিক্ততা ছড়িয়ে পড়ে। অধ্যয়নের ভাষ্য, একবার অধ্যয়ন ও কঙ্গনা ডিনার করছিলেন। প্রা্ক্তন সম্পর্ক নিয়ে কথা উঠায় হঠাৎ ক্ষেপে যান কঙ্গনা। বিশ্রায় কক্ষে যাওয়ার কথা বলে সোজা বাড়িতে চলে যান। কিন্তু অধ্যয়ন না জেনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা টেবিলে বসে থাকেন। পরে ফোনে জানতে পারেন কঙ্গনা বাড়িতে চলে গেছেন। পরদিন কঙ্গনার রাগ ভাঙানোর জন্য ফুলসহ বাড়ি যান অধ্যয়ন। কিন্তু বাড়িতে ঢুকতে দেননি কঙ্গনা। সঙ্গে করেন খারাপ আচরণ। ওই দিন পাঁচ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকেন অধ্যয়ন। পরিস্থিতি সামাল দিতে অধ্যয়নের বাবা শেখর সুমন কঙ্গনাকে ফোন দেন। তাতেও মন গলেনি তার। কিন্তু পরে অধ্যয়নকে নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত নেন কঙ্গনা। অধ্যয়নে আরো ভাষ্য, জীবন পদ্ধতিতে হস্তক্ষেপ করতে শুরু করেন কঙ্গনা। সড়কে চলার সময় কঙ্গনার পেছনে বডিগার্ডের মতো চলতে হতো তাকে। কোনো পরিচালক অধ্যয়নের প্রশংসা করলে রেগে আগুন হতে কঙ্গনা।