কুকুরের সঙ্গে সৈকতে ঘুমিয়ে থাকা শিশুটির জায়গা হলো ডিসির বাংলোতে
করোনা প্রতিরোধে সব ধরনের সামাজিক কার্যক্রম বন্ধের পাশাপাশি পর্যটন স্পটে বেড়ানো নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। সেই সঙ্গে বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ রয়েছে সবধরনের পরিবহন, দোকানপাট। ফলে লকডাউন অবস্থায় পর্যটন স্পটগুলো। তবে এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্নবিত্ত, দিনজীবী ও পর্যটক কিংবা খাবার হোটেলের উচ্ছিষ্ট চেয়ে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষগুলো। তাদেরই একজন অসহায় শিশু ইমন। কক্সবাজার লকডাইন অবস্থায় অন্য কোথাও না গিয়ে সৈকতের বালিয়াড়িতে কুকুরের সঙ্গে অভুক্ত ঘুমিয়ে দিন পার করছিল ইমন। বৃহস্পতিবার রাতে টহলে গিয়ে কুকুরের সঙ্গে ঘুমন্ত অবস্থায় শিশুটিকে দেখে মুঠোফোনে ছবি ধারণ করেন কক্সবাজার গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর মানস বড়ুয়া। ২৬ মার্চ রাত ১১টায় তিনি ফেসবুকে শিশুটির সেই ছবি আপলোড করে লেখেন ‘সুগন্ধার মোড়ে ঘুমিয়ে থাকা শিশুটি কোথায় যাবে?’ এতে অনেকে কমেন্ট করলেও ইমনের সহায়তায় কাউকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। কিন্তু ২৭ মার্চ রাত ১১টায় আবারো টহলে গিয়ে একইভাবে ইমনকে আবিষ্কার করেন মানস বড়ুয়া। আরেকটি ছবি তুলে আপলোড করে লেখেন, ‘ইমন আজও ঘুমিয়ে আছে।’ এটিই জেলা প্রশাসনের নজরে আসে। শুক্রবার রাত দেড়টায় শিশুটিকে ডিসির ডাকবাংলোতে নিয়ে পরিচ্ছন্ন করে নতুন জামা পরিয়ে পছন্দের খাবার খাওয়ান ডিসি।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- সহায়তা
- পথ শিশু
- ফেসবুক
- কক্সবাজার জেলা