জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণে সাড়ে ৪ হাজার বর্গফুট অফিস
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে (জিটুজি) অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণের কাজ চূড়ান্ত ধাপে উন্নীত হয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বর্গফুটের ভাড়া অফিস পাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এক্ষেত্রে বর্গফুটের ভাড়া ধরা হয়েছে ৬৬ টাকা। সম্প্রতি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকা এ অফিস ভাড়া নেয়ার বিষয়ে সম্মতি প্রদানের নিমিত্ত অর্থ বিভাগকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ, বেজা ও জাপানের সুমিতোমো করপোরেশনের যৌথ উদ্যোগে প্রায় এক হাজার একর জমির উপর নির্মাণাধীন এই অর্থনৈতিক অঞ্চল আগামী আড়াই বছরের মধ্যে শিল্প স্থাপনের জন্য প্রস্তুত হবে। বেজার প্রস্তাবনায় বলা হয়, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন' শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়ন করার জন্য গত ৫ মার্চ ২০১৯ তারিখে আলোচ্য প্রকল্পটি একনেক কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। জিটুজি ভিত্তিক এ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের নিমিত্ত ২ হাজার ৫৮২ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে অধিগ্রহণকৃত প্রায় ৬২০ (ছয়শত বিশ) একর ভূমি উন্নয়নসহ সকল ইউটিলিটি সুবিধাদি উন্নয়ন করা হবে। ওই প্রকল্পের প্রধান প্রধান ভৌত কার্যাদি হলো : ভূমি উন্নয়নসহ মাটির গুণগতমান উন্নয়ন, গ্যাস লাইন স্থাপন ও স্থানান্তরসহ (প্রায় ৯ কি.মি.) গ্যাস স্টেশন (সিজিএস), পানি সরবরাহসহ রিটেনশন পুকুর, পাম্পিং স্টেশন স্থাপন ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য স্বতন্ত্র পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন, টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক ইত্যাদি। জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য ১৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সমন্বয়ে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন ইউনিট রয়েছে। অনুমোদিত ডিপিপি’র আওতায় ৪ জন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা (প্রেষণে) এবং ১৫ (পনের) জন কর্মকর্তা-কর্মচারী আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে নিয়োগের সংস্থান রয়েছে। এছাড়া, প্রকল্পের ভৌত কার্যাদি ডিজাইন, সুপার ভিশন মনিটরিং এর জন্য ২১ জন বিদেশি এবং ২২ জন স্থানীয় পরামর্শক সমৃদ্ধ একটি জাপানিজ পরামর্শক কোম্পানীকে নিয়োগ প্রদান কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। উল্লেখ্য, অনুমোদিত ডিপিপিতে অফিস ভবন ভাড়া বাবদ ৭২ লাখ টাকার সংস্থান রয়েছে। প্রস্তাবিত অফিস ভাড়া বাবদ অতিরিক্ত অর্থের সংস্থান প্রকল্পের অন্যান্য অঙ্গ (যথাঃ অপ্রত্যাশিত ব্যয়, প্রাইস কন্টিনজেন্সি প্রভৃতি) হতে পরবর্তীতে ডিপিপি সংশোধনের সময় সমন্বয় করা হবে। জাইকার আর্থিক সহায়তায় বাস্তবায়নধীন আলোচ্য প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশে জাপানিজ বিনিয়োগ ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে। জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চলের অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম বর্তমানে ৬২০ একরে সীমাবদ্ধ হলেও প্রকল্প চলাকালীন সময়েই ভবিষ্যতে এটি ১ হাজার একরে উন্নীত করা হবে। জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চলের অবকাঠামো উন্নয়ন সংক্রান্ত আলোচ্য প্রকল্পটি বাস্তবায়নকালীন সময়ে জাপানিজ বিনিয়োগকারীগণ প্রকল্প কার্যালয়ে বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন সভা আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন এবং তাদের জন্য ওয়েটিং রুম রাখতে হবে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.