নারায়ণগঞ্জে রাস্তাঘাট ফাঁকা, কঠোর অবস্থানে প্রশাসন
প্রশাসনের আল্টিমেটামের পর চিরচেনা শহর এখন অচেনা নগরীতে পরিণত হয়েছে। বুধবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার শহরে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে কঠোর হুশিয়ারি দেন। রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হয় পুলিশ। এরপরেই রাত থেকে ফাঁকা হতে থাকে শহর।বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শহর ও শহরতলী সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রায় জনমানবশূণ্য শহর। রাস্তায় রিক্সা ছাড়া কিছু নেই। শহরজুড়ে স্প্রে করা হচ্ছে জীবানুনাশক পানি। বর্তমানে রাস্তায় যারা আছেন তাদের মধ্যে নিম্ন আয়ের মানুষগুলো বাধ্য হয়েই ঘরের বাইরে বের হয়েছেন। কেউ কেউ প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী কিনতে বের হন। কাঁচাবাজারগুলোতেও মানুষজনের দেখা মিলেছে। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় কম ছিল।এদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে জনসচেতনতায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে। বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ, র্যাবের অবস্থান দেখা গেছে। টহলরত অবস্থা দেখা গেছে সশস্ত্র বাহিনীকে। এছাড়াও এদিনও অন্যান্য দিনের মত রাস্তায় ছিল বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা। তারা বিভিন্ন রিকশা ও চলাচলরত মানুষদের মাঝে জীবানুনাশক স্প্রে করছিলেন। তারা বিভিন্ন এলাকাতেও জীবানুনাশক স্প্রে করেছেন।নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল বৃহস্পতিবার দুপুরে জানান, বুধবার পর্যন্ত রাস্তায় কিছুটা জনসমাগম ছিল। কিন্তু রাতেই আমরা অ্যাকশনে যাই। তাই আজ বৃহস্পতিবার মানুষ ঘরে অবস্থান নিয়েছে। নিয়মের ব্যতয় ঘটলে আমরা কঠোর হব।