করোনার জন্য বিশ্ববাসী প্রস্তুত না থাকলেও ধরণী প্রতীক্ষায় ছিল
পিডেমিকের অর্থ হচ্ছে মহামারি আর এটি অঞ্চল ভিত্তিক হয়। করোনা কিন্তু এপিডেমিক নয়, করোনা হচ্ছে প্যানডেমিক অর্থাৎ বিশ্ব মহামারি। মানুষের অনাচারে যখন ধরণী অতিষ্ঠ হয়ে যায় তখন মানুষের ওপর প্রকৃতির রুষ্ট হয়ে প্রতিশোধ গ্রহণ করে। এটিই প্রকৃতির নিয়ম। ১৭৯৮ সালে ইতালীয় ধর্মযাজক এবং অর্থনীতিবিদ টমাস রর্বাট ম্যালথাস জনসংখ্যা নিয়ে An Essay on the principle of population নামে একটি থিউরি বা তত্ত্ব দেন, যা তার নাম অনুসারে অর্থনীতিতে ম্যালথাস এর জনসংখ্যা তত্ত্ব নামে পরিচিত। এই তত্ত্ব আমরা উচ্চ ক্লাসে পড়েছি। তিনিও প্রকৃতির প্রতিশোধের কথা বলেছেন। মানুষ যদি পপুলেশনের বিষয়ে মাত্রা জ্ঞান হারিয়ে মানুষের জন্মের রাস টেনে না ধরে তবে প্রকৃতি তার বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। একটার পর একটা বিপর্যয় তখন অবধারিত হয়ে যায়। এজন্যই বলেছি যে করোনার জন্য এই বিশ্ববাসী প্রস্তুত ছিল না কিন্তু ধরণী প্রতীক্ষায় ছিল। কারণ মানুষের অনাচারে ধরণীর নাভিশ্বাস উঠেছে। একটি ক্ষুদ্র ভাইরাস গত তিন মাসে স্তব্ধ করে ফেলেছে গোটা বিশ্বকে। এই ভাইরাসটির আরম্ভ চীনের উহান প্রদেশের পশু মাংসের বাজার হুয়ানান সি ফুড মার্কেট থেকে। জীবাণুটা প্রথমে শ্বাসযন্ত্রকে আক্রমণ করে শরীরে ছড়ায়। প্রথম আক্রান্তের ৪১ জনের মধ্যে ২৭ জন এই বাজারে বারেবারে ঘোরাফেরা করেছে। উহানের এই বাজারটিতে মুরগী, ভেড়া, শুয়োর ইত্যাদির পাশাপাশি জঙ্গল থেকে ধরে আনা বিচিত্র প্রাণীও জীবন্ত অবস্থায় বিক্রি হতো। এখানে ভাইরাসটা কোনও এক প্রাণীর দেহ থেকে বিস্তার করেছে। করোনা ভাইরাসের পছন্দের জায়গা হলো স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং পাখি। এই মুহূর্তে পৃথিবীতে কয়েক হাজার কোটি মুরগী, গরু, ভেড়া, ছাগল রয়েছে- বিশ্বের বিভিন্ন খামারে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.