করোনার প্রতিষেধক ‘গুজবে’ উধাও রিকোনিল ট্যাবলেট!
দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় হঠাৎ মনোহরদী উপজেলার বিভিন্ন ওষুধের দোকানগুলো থেকে উধাও হয়ে গেছে ম্যালেরিয়া রোগে ব্যবহৃত রিকোনিল (২০০মি.গ্রা.) ট্যাবলেট। করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন কার্যকর বলার পর মনোহরদী থেকে এ ওষুধটি নিমিষেই হাওয়া হয়ে গেছে। দেশের অন্যতম ওষুধ কোম্পানি ইনসেপ্টা এ ওষুধটি তৈরি করে থাকে। ৩০ পিস ট্যাবলেটের প্রতি প্যাকেটের মূল্য ৩৬০ টাকা। হঠাৎ এ ওষুধের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সুযোগ বুঝে সক্রিয় হয়ে উঠেছে কালোবাজারিরা। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি দরে বিক্রি করছেন এ ওষুধ। সোমবার (২৩ মার্চ) উপজেলার বিভিন্ন বাজারে পাইকারি ও খুচরা ওষুধের দোকানদার এবং ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এই পরিস্থিতির কথা জানা গেছে। জানা যায়, ইনসেপ্টা কোম্পানির বাজারজাত করা রিকোনিল (২০০মি.গ্রা.) ওষুধটি মূলত ক্লোরোকুইন ফসফেট ম্যালেরিয়া, প্রফিল্যাক্সিস এবং ম্যালেরিয়া দমন, অ্যামিবিক হেপাটাইটিস এবং ফোঁড়া, ডিসঅকয়েড এবং সিস্টেমিক এবং সিস্টেমিক লুপাস এরিথেথোসাস, রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসা নিরাময়ে ব্যবহার হয়ে থাকে। মনোহরদী বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী মোক্তার হোসেন বলেন, গত দুইদিন থেকেই তার দোকানে উদ্বিগ্ন লোকজন রিকোনিল ট্যাবলেট কেনার জন্য ভিড় করছেন। এ ট্যাবলেট বিক্রি কম হওয়ায় দোকানে আগে থেকেই অল্প পরিমাণে ছিল। যে কয়েক বক্স ছিল মুহূর্তেই সেগুলো শেষ হয়ে যায়। পাইকারি ব্যবসা হলেও চাহিদার কথা বিবেচনা করে খুচরা বিক্রি করতে হয়েছে। রিকোনিল ট্যাবলেট প্রস্তুতকারী ইনসেপ্টা কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি তাজুল ইসলাম বলেন, মনোহরদী, চালাকচর ও হাতিরদিয়া বাজারের প্রায় অর্ধশতাধিক দোকানে ওষুধ সরবরাহ করে থাকি। সাধারণত এ ট্যাবলেট প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ১০ বক্স বিক্রি হয়ে থাকে। গত দুই দিনে বিভিন্ন বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ীরা কমপক্ষে দুই হাজার বক্স অর্ডার করেছেন। কিন্তু কোম্পানি থেকে একটিও সরবরাহ করা হয়নি। মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাশেদুল হাসান মাহমুদ বলেন, করোনা ভাইরাস ওষুধের মাধ্যমে প্রতিরোধ করার কোনো ব্যবস্থা নেই। অর্থাৎ করোনা ভাইরাসের কোনো ধরনের প্রতিষেধক নেই। আমাকেও কয়েকজন এ ব্যাপারে ফোন দিয়েছিলো। তাদের রিকোনিল করোনা ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক নয় জানিয়ে দিয়েছি।