করোনাভাইরাসকে ‘জাতীয় দুর্যোগ’ হিসেবে ঘোষণার দাবি মেননের
করোনোভাইরাস সংক্রমণের সর্বশেষ পরিস্থিতি বিবেচনা করে এটিকে ‘জাতীয় দুর্যোগ’ হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে জাতীয় দুর্যোগ কমিটি গঠন করে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর মতো লকডাউন, আংশিক লকডাউন, প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন ও হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।সোমবার (২৩ মার্চ) ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্যদের সঙ্গে স্কাইপের মাধ্যমে এক সভায় এসব কথা বলেন তিনি।দলটির পলিটব্যুরো সদস্য কামরুল আহসান জানান, সভায় বলা হয়— ইতোমধ্যে তিনটি মূল্যবান মাস অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যেসব ব্যবস্থার কথা বলেছে বাস্তবে তার অস্তিত্ব দেখা যায়নি। চরম সমন্বয়হীনতা সেখানে কাজ করছে।সভায় রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘‘রোগ তত্ত্ব বিভাগ করোনা পরীক্ষার জন্য হটলাইনে কথা বলতে বললেও তাদের সংযোগ পাওয়া যায় না। অথবা রোগী ‘বিদেশ ফেরত নয়’ বলে তাদের পরীক্ষাও করা হয় না। মিরপুরে টোলারবাগের ঘটনা তার প্রমাণ। একইভাবে একজন সাংবাদিক ও ডাক্তারের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাও তার প্রমাণ। তাছাড়া মাত্র একটি পরীক্ষাগার দিয়ে কীভাবে এত সংখ্যক ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা হতে পারে।’’মেনন আরও বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক যে, প্রতিটি বিভাগে একটি করে পরীক্ষাগার স্থাপনে ওয়ার্কার্স পার্টির দাবিও উপেক্ষিত হয়েছে। ফলে ঢাকা থেকে সিলেটের রোগীর নমুনা সংগ্রহের আগেই তিনি মারা গেছেন। তাকে করোনাভাইরাস সংক্রমিত বলে দাফন করা হলেও এখনও রোগতত্ত্ব বিভাগ তা নিশ্চিত করতে পারেনি।’কেবলমাত্র কিট সংগ্রহেই তিন মাস চলে গেলো বলে উল্লেখ করে এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা ব্যবস্থা (পিপিই) এখনও পর্যন্ত সেভাবে সরবরাহ করা হয়নি। ফলে যাদের সর্দি-কাশি শ্বাসকষ্টের সামান্যতম উপসর্গ রয়েছে, তাদেরকে হাসপাতাল এবং প্রাইভেট চেম্বারও ফিরিয়ে নিচ্ছে। ভাইরাস সংক্রমণের বাস্তবতা সর্বোচ্চ নেতৃত্বকে সঠিকভাবে জানানো হচ্ছে না। যে জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে, সেটাও একবারও বসেনি বলে সংবাদপত্রে খবরে প্রকাশ।’শ্রমজীবী ও বস্তিবাসী মানুষের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় দুই সপ্তাহের খাদ্য সরবরাহ দাবি জানিয়ে মেনন বলেন, ‘গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে মালিকদের সহায়তা প্রদান এবং সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করা জরুরি।’সভায় স্কাইপে সংযুক্ত ছিলেন— সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, পলিটব্যুরোর সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক, মাহমুদুল হাসান মানিক, ড. সুশান্ত দাস, নুর আহমদ বকুল, মুস্তফা লুৎফুল্লাহ প্রমুখ।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.