করোনা: চট্টগ্রাম বন্দরে কমেছে কার্গো পণ্য আসা
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে ধস নামতে শুরু করেছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনারের পাশাপাশি কার্গো পণ্য আসা কমছে মারাত্মকভাবে। এদিকে দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে পোশাক শিল্পের উৎপাদন বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা। এতে পোশাক শিল্পের মালিকদের প্রতিদিন শত কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। ইউরোপ, আমেরিকা থেকে শুরু করে বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার পাশাপাশি সংক্রমণ ঠেকাতে জনজীবন অনেকটাই অচল। তার প্রভাব পড়ছে বিশ্ব বাণিজ্যে। চট্টগ্রাম বন্দরের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরুতে প্রতি মাসেই ৪০ থেকে ৫০ হাজার টিইউএস কন্টেইনার আসা কমছে। জানুয়ারি মাসে ২ লাখ ৮৬ হাজার কন্টেইনার আসলেও ফেব্রয়ারি মাসে এসেছে ২ লাখ ৪২ হাজার। আর এক মাসে কার্গো পণ্য আসার পরিমাণ কমেছে প্রায় ১৫ লাখ মেট্রিক টন। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের যে প্রভাব সেটা এখানেও পড়েছে। জানুয়াতিতে চীন থেকে এসেছে ১৫ জাহাজ। আর ফেব্রুয়ারিতে এসেছে ৯ জাহাজ। অন্যান্য রুট থেকে জাহাজ আসা এখনো স্বাভাবিক থাকলেও চীন থেকে সরাসরি জাহাজ আসার হার তুলনামূলক কম। গত মাসে ৯টি এবং চলতি মার্চ মাসে চীন থেকে জাহাজ এসেছে ৮টি। সিঙ্গাপুর-শ্রীলংকাসহ অন্যান্য রুট দিয়ে জাহাজ আসা স্বাভাবিক থাকলেও পণ্যের পরিমাণ কম হওয়ায় জাহাজ মালিকদেরও ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। বাংলাদেশে শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক আজমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, ভলিউম কমে গেলে স্বাভাবিকভাবে আমাদের ওপর কস্ট ইমফ্যাক্ট বেশি পড়ে। এতে শিপিং কোম্পানিগুলো অনেক ক্ষতিমুখে পড়তে যাচ্ছে। এদিকে আগের মজুদের কাঁচামাল দিয়ে এতদিন পর্যন্ত দেশের গার্মেন্টস কারখানাগুলো সচল রেখেছিলেন মালিকেরা।