টাকার মাধ্যমেও ছড়াতে পারে করোনাভাইরাস! বিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যা
নভেল করোনাভাইরাস একটি মারাত্মক ছোঁয়াচে ও দ্রুত বিস্তারে সক্ষম ভাইরাস। চীনের উহান শহরে উৎপত্তির পর আড়াই মাস হওয়ার আগেই ভাইরাসটি বিশ্বের ৮০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ছুঁইছুঁই। যে কারণে কিভাবে আর কোন মাধ্যম ধরে এ প্রাণঘাতী ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে তা নিয়ে আতঙ্ক এখন জনমনে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, মোবাইল ফোনের স্ক্রিনের মতো কঠিন পদার্থ এ ভাইরাস সংক্রমণের একটি সম্ভাব্য মাধ্যম। এবার যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে তাহলো - টাকা লেনদেনের মধ্য দিয়েও ছড়াতে পারে করোনাভাইরাস! কেননা বাজারে আসার পর বাতিল হয়ে যাওয়া অবধি মানুষের হাত ঘুরে ঘুরেই পরিচালিত হয় টাকা। আর টাকায় নানা ধরনের জীবাণুর উপস্থিতি শনাক্ত করার ঘটনা নতুন নয়। এমনকি ব্যাংক নোটের মাধ্যমে সংক্রামক নানা রোগ ছড়িয়ে পড়ার কথাও বলেন বিশেষজ্ঞরা। টাকায় মলমূত্রের জীবাণু থাকে বলে বাংলাদেশের একদল গবেষকের গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে। বাজারে প্রচলিত টাকা ও কয়েনে এক হাজারের চেয়ে আরো অনেক বেশি মাত্রায় ব্যাকটেরিয়ার ই -কোলাই জাতীয় ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পেয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানের ছাত্রী নিশাত তাসনিম। ফলে টাকা বা কয়েনের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাকে মোটেই উড়িয়ে দেয়া যায় না। সত্যি কি টাকা বা কয়েনের মাধ্যমে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটতে পারে? এ বিষয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী বলেছেন, ‘এটাই স্বাভাবিক। আমাদের গবেষণায় টাকা ও কয়েনে বিভিন্ন ধরনের হাজারো ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পেয়েছি, যা মানুষের অন্ত্রে নানা ধরনের রোগ সৃষ্টি করে। তাই এর মাধ্যমে কভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়াটা অস্বাভাবিক নয়। বরং আমরা মনে করছি এ ভাইরাস ছড়াতে টাকা একটি অন্যতম মাধ্যমও হতে পারে।’ তিনি যোগ করেন, ‘টাকা বা ডলারের আন্তর্জাতিক বিনিময়ের মাধ্যমে করোনাভাইরাস শুধু একটি দেশের মধ্যে নয় বরং বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং এটি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।’ এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘মানুষ সরাসরি হাত দিয়ে টাকা ধরে। অনেক সময় মুখের থুথু নিয়ে টাকা গুণে। তাই এর মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।’
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.