মিয়ানমারের সঙ্গে জার্মানির উন্নয়ন সহযোগিতা স্থগিতের ঘোষণা

ডয়েচ ভেল (জার্মানী) প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৮:০৩

মঙ্গলবার দু' দিনের সফরের প্রথম দিনে ড. গার্ড মুলার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন৷ বুধবার সকালে রোহিঙ্গাদের দেখতে কক্সবাজারে যান৷  জার্মানির অর্থনীতি ও উন্নয়ন সহযোগিতা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের খবর অনুযায়ী কুতুপালং শিবির পরিদর্শন শেষে রোহিঙ্গাদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আজ আমি অবর্ণনীয় ভোগান্তির শিকার নারীদের সঙ্গে কথা বলেছি৷ কুতুপালংয়ের বিশ্বের অন্যতম বড় এই শরণার্থী শিবিরে খড়ের তৈরি ঘরে আট লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছেন৷ তাদের অবস্থা দেখে আমি বিমর্ষ৷ জাতিগত নির্মূলের এমন প্রয়াস এবং মানবতাবিরোধী এমন অপরাধ মেনে নেয়া যায় না৷'' জার্মানির অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং উন্নয়ন মন্ত্রী  মনে করেন মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ না বাড়ালে দেশটি কখনোই রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে না৷ মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়াতে তাই দেশটির সঙ্গে জার্মানির উন্নয়ন সহযোগিতা স্থগিতের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি, ‘‘১০ লাখ রোহিঙ্গাকে তাদের জন্মভূমিতে ফিরিয়ে নেয়া এবং এখনো সেখানে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে না তারা৷ মিয়ানমার যতক্ষণ পর্যন্ত এসব না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত দেশটির সঙ্গে সব উন্নয়ন সহযোগিতা আমরা স্থগিত রাখবো৷'' আদালতে মিয়ানমার - কিছু প্রশ্ন, কিছু উত্তর কেন গাম্বিয়া? ১৯৭৮ সালে গণহত্যা বিষয়ক আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুসমর্থন করে গাম্বিয়া, ১৯৫৬ সালে কনভেনশন অনুসমর্থন করেছিল মিয়ানমারও৷ কনভেনশনের নয় নম্বর আর্টিকেল  অনুযায়ী যেকোনো পক্ষই গণহত্যা প্রতিরোধে বিচার আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে৷ অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন- ওআইসির ৫৭ সদস্যের সমর্থনে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া এই মামলা দায়ের করেছে৷ আদালতে মিয়ানমার - কিছু প্রশ্ন, কিছু উত্তর গাম্বিয়ার অভিযোগ কী? গাম্বিয়ার অভিযোগ, বিয়ে ও সন্তান নেয়া, চলাচলসহ রোহিঙ্গাদের নানা মৌলিক অধিকার পরিকল্পিতভাবে হরণ করেছে মিয়ানমার৷ রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে আটে রাখা এবং তাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াতেও সমর্থনের অভিযোগ আনা হয়েছে৷ গাম্বিয়া বলছে, এর সবকয়টিই ‘জেনোসাইডাল ইনটেন্ট’৷ ২০১৬ সালের অক্টোবর ও ২০১৭ সালের আগস্টে অভিযান চালিয়ে নারী ও শিশুসহ রোহিঙ্গা হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে৷ আদালতে মিয়ানমার - কিছু প্রশ্ন, কিছু উত্তর মিয়ানমার কী বলছে? মিয়ানমারের নেতা অং সান সুচির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বিচার আদালতে দেশটির প্রতিনিধিত্ব করছে৷ দেশটির সেনাবাহিনী ‘তাতমাদো’ও সরকারের সমর্থনে কাজ করার কথা জানিয়েছে৷ দেশটিতে সরকার ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সমালোচনা করা অ্যাকটিভিস্টদের প্রায়ই গ্রেপ্তার নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়৷ তারপরও বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা বিচার আদালতের প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে বিবৃতি দিয়েছেন৷ আদালতে মিয়ানমার - কিছু প্রশ্ন, কিছু উত্তর কেন এ মামলা গুরুত্বপূর্ণ? মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগ দীর্ঘদিনের৷ কিন্তু গাম্বিয়া মামলা করার আগ পর্যন্ত মিয়ানমারকে বিচারের মুখোমুখি করা সম্ভব হয়নি৷

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও