কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সম্রাট থেকে পাপিয়া; আওয়ামী লীগের শক্ররা!

আমাদের সময় প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৫:৪৫

ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার ক্যাসিনোকাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই দলটির স্থানীয় পর্যায়ের নেতবৃন্দর নতুন কেলেঙ্কারি জনসম্মুখে এসেছে। বাংলাদেশ মহিলা যুবলীগের এক স্থানীয় পর্যায়ের নেত্রীর অপকর্মের খবর আজ সারাদেশে তোলপাড় ফেলেছে। র‌্যাব তাকে গতকাল আটক করেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দলের ভিতর শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছে। এই সময় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা মতিঝিল ক্লাব পাড়ায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ক্যাসিনো সামগ্রী উদ্ধার করেছে। এর পরপরই যুবলীগ নেতা খালেদ হোসেন ভুইয়া, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটসহ বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল যুবলীগের চেয়ারম্যান, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কিচু গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে। আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে শুদ্ধি অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল। যারা দলের বিতর্কিত, দলের পরিচয় ব্যবহার করে নানা রকম অপকর্ম করছে তাদেরকে দলে স্থান না দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি কঠোর বার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময় শামীমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউর ঘটনায় আবার দেখা গেছে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার ফলে আওয়ামী লীগের মধ্যে যে বিভিন্ন অপকর্মকারী- অপরাধীরা ঘাপটি মেরে আছে তারা দলটিকে কতটা কলংকিত করতে তা বের হয়ে আসছে। আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে তারা। পাপিয়ার এই ঘটনা নিয়ে এখন আওয়ামী লীগের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা চলছে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতা বলছেন, যে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে সেই শুদ্ধি অভিযান বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এখন আবার দুর্বিত্তরা দলটিকে অভয়ারন্যে পরিণত করছে। সরকার দলীয় দলটির পরিচয় ব্যবহার করে সমাজের বিভিন্ন অনিয়ম স্বেচ্চাচারিতা করছে। এগুলো যদি বন্ধ না করা হয় তাহলে আওয়ামী লীগের জন্য আদর্শিক মান ধরে রাখা কঠিন হয়ে যাবে। আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার ফলে বিভিন্ন স্তরের অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে গেছে এবং এরা দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে নানারকম অপপ্রচার করছে। আওয়ামী লীগের আদর্শিক মান নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত দলের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। আর একারণে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনা বারবার নির্দেশনা দেবার পরেও নির্দেশনা প্রতিফলিত হচ্ছেনা কেন সে ব্যাপারে আওয়ামী লীগের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, পাপিয়ার ঘটনার পর আওয়ামী লীগে নতুন করে শুদ্ধি অভিযানের দাবি উঠেছে। বিশেষ করে যারা আওয়ামী লীগের প্রতি নিবেদিত প্রাণ, দুঃসময়ের নেতাকর্মী তাঁরা মনে করছে, জাতির পিতার আদর্শে গড়া যে সংগঠনটি, সেই সংগঠনটি কিছু মানুষের কারণে বদনামের ভাগিদার হতে পারেনা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও