দেশ বিরাজনীতিকরণের পথে কেন এগিয়ে যাচ্ছে
সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী নিম্ন আদালত থেকে সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত বিচারিক কাজে ৩৭ বছর (তার মধ্যে প্রায় ১৬ বছর হাইকোর্টের বিচারপতি) নিয়োজিত থাকার পর গত ৮ জানুয়ারি তার সর্বশেষ কর্মদিবসে বিদায়ী সম্ভাসনে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেছেন, ‘বিচার বিভাগ নিয়ে জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জনগণের এই দৃষ্টিভঙ্গি মূল্যায়ন করতে হবে।’ বিচারিক কাজে নিয়োজিত ৩৭ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন বিচারপতির অবসরলগ্নে বিচার বিভাগ সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন তা গভীরভাবে পর্যালোচনা করলে মন্তব্যটা কী দাঁড়ায়? দ্রæব সত্য যে, জনগণের জন্যই বিচারিক ব্যবস্থা, সভ্যতার প্রথম শর্ত ন্যায়ভিত্তিক বিচার। ফলে প্রশ্ন উঠে, সর্বস্তরের জনগণের মনের ভাষা কি বিচার বিভাগ হৃদয়ঙ্গম করে? হাইকোর্টে টাকার বিনিময়ে কজ লিস্টের সিরিয়াল উঠানামার কথা ইতোপূর্বে গ্রাম পর্যায়ে চায়ের দোকানেও আলোচনা হতো, এখন তা নিয়ন্ত্রণ হয়েছে।