অটোস্কলেরোসিস: কানের ভেতর হাড়ের পরিবর্তন

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি ২০২০, ০৮:৪৫

রেহানা খালার জন্য সবার একটা টান। এত নরম একটা মানুষ। কথা বলেন গলা নামিয়ে। খুব বেশি আওয়াজ পছন্দ করেন না, নিরিবিলি থাকেন। সারাক্ষণ কী জানি ভাবেন, কেউ ডাকলে প্রথমে অনেক সময় খেয়াল করেন না। পরে ঠিকই খেয়াল করেন। ওনার সঙ্গে কথা বলতে হয় গলা উঁচিয়ে। কিন্তু উনি ঠিকই গলা নামিয়েই জবাব দেন। সাইমনের অফিসে ভালো লাগে, পার্টিতে ভালো লাগে, দাওয়াতে ভালো লাগে। কিন্তু নিজের বাসায় কারও কথা শুনতে খিটখিট লাগে। বাইরে সবাই এত ভালো করে কথা বলে, বাসায় সব ম্যাঁও ম্যাঁও। কী যে বলে বোঝাই যায় না। হেডফোনে গান শুনতে ভালোবাসে সে। আজকাল আবার স্মার্টফোনগুলোর হয়েছে এক জ্বালা। ভলিউম বাড়িয়ে শুনতে নিলেই ওয়ার্নিং মেসেজ দেখায়। অথচ কম ভলিউমে শুনে কি কোনো মজা আছে? তারিনের প্রেগন্যান্সিতে কানে একটু অস্বস্তি ছিল। পরে সেটা চলে যায়। আজকাল আবার কানের ভেতর কেমন জানি মেশিন চলার বা কেটলিতে পানি ফোটার শাঁই শাঁই আওয়াজ হয়। হঠাৎ হঠাৎ আজকাল মাথাটাও কেমন জানি চক্কর দিয়ে ওঠে। রেহানা খালা, সাইমন বা তারিনের ক্ষেত্রে ভালো করে খেয়াল করুন। নিচু গলায় কথা বলা রেহানা খালা গলা নামিয়ে কথা বলেন, কারণ উনি ওনার নিজের গলার স্বর বড় করে শুনতে পান। সাইমন কোলাহলে ভালো শোনে, কারণ ওখানে সবাই উঁচু গলায় কথা বলে। আর বাসায় স্বাভাবিক স্বরে কথা বলে বিধায় সে ঠিকমতো শুনতে পায় না, আর তার মেজাজ খিঁচড়ে যায়। এদিকে আবার হেডফোনে চড়া সুরে গান শুনতে ভালো লাগে। অর্থাৎ তার অগোচরেই আস্তে আস্তে কানে কম ফ্রিকোয়েন্সির শব্দ শোনার ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। আবার তারিনের ক্ষেত্রে বাড়তি একটা শব্দ শোনার সমস্যা তৈরি হয়েছে, যাকে টিনিটাস বলা হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও