দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির উন্নয়নশীল একটি দেশ স্বাভাবিকভাবেই উন্নত দেশের কাতারে ঢুকে যাবে—সাধারণভাবে ব্যাপারটা সে রকমই মনে হয়। কিন্তু সেই দেশটি যে অনিবার্যভাবে উন্নত দেশের কাতারে ঢুকে যাবে, সেই নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে না। মেক্সিকো, ব্রাজিল ও তুরস্কের মতো প্রতিশ্রুতিশীল অর্থনীতিগুলো জাপান ও ইউরোপের উন্নত দেশের মতো হতে পারেনি। তারা মধ্যম আয়ের ফাঁদে আটকা পড়েছে। ২০০৬ সালে বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদ ইন্দরমিত গিল ও হোমি খারাস এই শব্দবন্ধ প্রথম ব্যবহার করেন। এর অর্থ হলো টানা কয়েক বছর একটি দেশের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পর ধারাবাহিক শ্লথগতি। কথা হচ্ছে, ১৯৯০-এর দশকে অর্থনৈতিক উদারীকরণের পর উচ্চ আয়ের দেশ হওয়ার পথে ধাবমান ভারতও কি সেই ফাঁদে আটকা পড়তে যাচ্ছে? ৭ জানুয়ারি ভারতের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুসারে, চলতি অর্থবছরে ভারতের প্রবৃদ্ধির হার ৫ শতাংশে নেমে আসবে, ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের পর যা সর্বনিম্ন। ভারতের গল্পটাও অন্যান্য দেশের মতো। টানা কয়েক বছরের দ্রুত প্রবৃদ্ধির পর দেশটির অর্থনীতি গতি হারিয়েছে। সে জন্য অর্থনীতিবিদদের শঙ্কা, ভারতের অবস্থাও মেক্সিকো ও ব্রাজিলের মতো হতে যাচ্ছে কি না। গত বছরের মে মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পর্ষদের তৎকালীন সদস্য রথিন রায় সতর্ক করে বলেছিলেন, ভারতের প্রবৃদ্ধির হার নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের (১০০০-৩৮০০ ডলার) পর্যায়ে নেমে আসছে। এই পরিস্থিতিতে গতিপথ বদলানো না হলে ভারত মধ্যম আয়ের ফাঁদে আটকা পড়তে পারে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.