৬ মাসের জন্য বাজওয়াকে পুনঃনিয়োগ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়াকে ছয় মাসের জন্য পুনঃনিয়োগ দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার এক সংক্ষিপ্ত নির্দেশে এমনটা জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি আসিফ সাঈদ খোসা নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ। নির্দেশে বলা হয়েছে, এই ছয় মাসের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকারকে সেনাপ্রধানের পুনঃনিয়োগ বা মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে পার্লামেন্টে আইন পাস করতে হবে। অন্যথায় সেনাপ্রধানের নতুন নিয়োগ অবৈধ বিবেচিত হবে। সরকারের কাছ থেকে আইন পাসের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর এ রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এ খবর দিয়েছে দ্য ডন ও এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সেনাপ্রধান হিসেবে বাজওয়ার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। সমপ্রতি তার মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে বিচার ব্যবস্থা ও ক্ষমতাসীন সরকারের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। গত ১৯শে আগস্ট বাজওয়ার মেয়াদ বাড়িয়ে একটা প্রজ্ঞাপন জারি করেন ইমরান খান। তাতে সেনাপ্রধানের মেয়াদ আরো তিনবছর বাড়ানো হয়। কিন্তু মঙ্গলবার এক পিটিশনের ওপর শুনানিতে ইমরানের ওই প্রজ্ঞাপনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্ট। এ বিষয়ে আদালতকে সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হন অ্যাটর্নি জেনারেল। পরে প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ইমরান খানের ওই প্রজ্ঞাপন গত বুধবার পর্যন্ত স্থগিত করেন। সুপ্রিম কোর্টের এমন সিদ্ধান্তের পর পরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদের এক বৈঠকে সেনাপ্রধানের মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়ে নতুন সংশোধিত প্রজ্ঞাপনের অনুমোদন দেয় মন্ত্রি পরিষদ। বৃহস্পতিবার সরকারকে ছয় মাসের মধ্যে সেনাপ্রধানের মেয়াদ বৃদ্ধি বা পুনঃনিয়োগের ব্যাপারে আইন পাসের প্রতিশ্রুতি ও সংশোধিত প্রজ্ঞাপন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তবে সংশ্লিষ্ট নথিপত্রগুলো জমা পড়ার আগেই রায় ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি আসিফ সাঈদ খোসা, বিচারক মিয়ান মাজহার আলম খান মিয়ানখেল ও বিচারক সাঈদ মানসুর আলী শাহের বেঞ্চ। সংশোধিত প্রজ্ঞাপনে তিনটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা হয়েছে। এতে সুপ্রিম কোর্টের কোনো উল্লেখ নেই। এছাড়া, সেনাপ্রধানের মেয়াদকাল ও তার বেতনভাতার বিষয়ও অপসারিত হয়েছে।প্রাথমিক প্রজ্ঞাপনে কোথাও বাজওয়ার মেয়াদ বৃদ্ধি ও কোথাও পুনঃনিয়োগের কথা বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গ টেনে প্রধান বিচারপতি তার ঘোষণায় বলেন, সেনাপ্রধানের মেয়াদ বৃদ্ধি বিষয়ক আইনটিতে অস্পষ্টতা রয়েছে। পার্লামেন্টকে এই অস্পষ্টতা দূর করতে হবে। এই ব্যবস্থাকে শুধরানোর জন্য পার্লামেন্টের চেয়ে ভালো কোনো ফোরাম নেই।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.