কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগে পদ পেতে মরিয়া নেতারা

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে ঘিরে পদ প্রত্যাশীরা দলের হাইকমান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে চলেছেন। লবিং, গ্রুপিং করেছেন সম্ভাব্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সকল পদ প্রার্থীরা। রংপুর ছেয়ে গেছে ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ডে প্রচারণায়। মহানগর আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদ নিতে বর্তমান জেলা ও মহানগর কমিটির নেতারা ছুটছেন কাউন্সিলরদের দ্বারে দ্বারে। অতীতের অবদান তুলে ধরে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে ধরনা দিচ্ছেন তারা। সম্মেলনে ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন হবে আশা তৃণমূলের নেতাকর্মীদের। আগামী ২৬শে নভেম্বর জেলা ও ২৭শে নভেম্বর মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও কেন্দ্রীয় নেতাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৬ নভেম্বরই জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা যায়। মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রায় সাড়ে ৪শ’ কাউন্সিলর তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। সূত্র মতে, সাবেক পৌর আওয়ামী লীগ কমিটি ভেঙে ২০১১ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারি রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগ কমিটি গঠন করা হয়। কেন্দ্র থেকে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাফিয়ার রহমান সফিকে সভাপতি ও তুষার কান্তি মন্ডলকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। এর দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার ক্ষমতায় আসলেও সম্মেলন না হওয়ায় মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যক্রম। মেয়াদ শেষ হলেও সম্মেলন না হওয়ায় সাংগঠনিক কার্যক্রমে কিছুটা ধীরগতিতে চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে তৃণমূলে। বেড়েছে অভ্যন্তরীণ কোন্দলও। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, বিএম মোজাম্মেল হক, বর্তমান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি’র উপস্থিতিতে বক্তব্য দেয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় নেতাদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই সময় স্থানীয় নেতাকর্মীরা মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের দাবি তোলেন। পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। সম্মেলনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে নগরীর বেতপট্টিস্থ দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ততই সরব হচ্ছে। মহানগর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের আড্ডা দেখা গেছে দলীয় কার্যালয়ে। চায়ের চুমুকে চলে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের খোশ গল্প। দলের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে এমন নেতৃত্বের সন্ধান করছে ওয়ার্ড কমিটির নেতারা। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে এবার যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, বর্তমান কমিটির সভাপতি সাফিয়ার রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন তালুকদার, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবুল কাশেম, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শামীম তালুকদার, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আতউর জামান বাবু, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ইদ্রিস আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য আব্দুল মতিন ময়না। সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য দৌড়-ঝাপে রয়েছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল, সহ সভাপতি অ্যাড. দিলশাদ ইসলাম মুকুল, মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা শাহ্‌ নবী উল্লাহ পান্না, প্রচার সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মিলন, যুগ্ম সম্পাদক নওশাদ রশীদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জাগাঙ্গীর আলম তোতা, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নাজমুল ইসলাম ডালিম। সাফিয়ার রহমান, আবুল কাশেম, শামীম তালুকদার, তুষার কান্তি মন্ডল, অ্যাড. দিলশাদ ইসলাম মুকুল, রেজাউল ইসলাম মিলনসহ সকলে নিজেকে দাবি করে বলেন, তৃনমূল নেতাকর্মীদের কাছে আমি পরীক্ষিত, কাউন্সিল হলে আমার পক্ষে রায় আসবে এ আমার বিশ্বাস।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও