নন্দীগ্রামে তুচ্ছ ঘটনায় এক নববধূর মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছে ট্রাকচালক স্বামী মোরশেদুল ইসলাম। গতকাল সকালে স্বামী মোরশেদুলকে আটক করেছে পুলিশ। নন্দীগ্রাম উপজেলার ইউসুবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।জানা গেছে, নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার পাঁচপাকিয়া গ্রামের নিজাম উদ্দিনের মেয়ে মার্জিয়া খাতুন রুপালীর (২২) সঙ্গে ৯ মাস আগে নন্দীগ্রাম উপজেলার মোশারফ হোসেনের ছেলে ট্রাক চালক মোরশেদুলের বিয়ে হয়।মেয়ের মা মঞ্জুয়ারা বেগম জানান, বিয়ের সময় নগদ দেড় লাখ টাকা যৌতুক দেয়া হয়। বিয়ের পর জামাই পাকা বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করে। এ কারণে আরো দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। রুপালী বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে না পারলে তাকে স্বামী ও শাশুড়ি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো।গত বুধবার দুপুরে রুপালীর হাত থেকে হরলিক্সের বয়াম পড়ে ভেঙে যায়। এ নিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে ঝগড়া হয় রুপালীর। স্বামী মোরশেদুল বাড়ি ফিরে এ ঘটনা শুনে বৃহস্পতিবার দুপুরে স্ত্রীকে মারধর করে। এরপর তাকে বাথরুমে নিয়ে গিয়ে মাথা ন্যাড়া করে দেয়। এ সময় শাশুড়ি বেবী খাতুন বাড়িতে ছিলেন না। তিনি বাড়ি ফিরে ছেলের বউকে মাথা ন্যাড়া করা দেখে চুলগুলো ফেলে দেয় এবং ছেলের বউ রুপালীকে ঘরে আটকে রাখে। রুপালী মোবাইল ফোনে ঘটনাটি বাবা-মাকে জানায়। শুক্রবার সকালে তার মা মঞ্জুয়ারা বেগম জামাই বাড়ি এসে গ্রামের লোকজনের সহযোগিতায় মেয়েকে উদ্ধার করে। পরে পুলিশে খবর দেয়া হলে পুলিশ মোরশেদুলকে আটক করে।নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শওকত কবীর বলেন, মোরশেদুলকে আটক করা হয়েছে। স্ত্রীকে মাথা ন্যাড়া করে দেয়ার পিছনে যৌতুক ছাড়া আর কী কারণ রয়েছে সেগুলো অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.