পাটের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে ঢাকার প্রস্তাব জাতিসংঘে গৃহীত
পাটের বৈশ্বিক চাহিদা বৃদ্ধি ও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশের প্রস্তাবনা সর্ব সম্মতিক্রমে জাতিসংঘে গৃহীত হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ প্রস্তবনাটি জাতিসংঘে উত্থাপন করে। তিন মাস দর কষাকষির পর জাতিসংঘের সব সদস্য রাষ্ট্রকে প্রস্তাবনাটির পক্ষে আনতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। আর এটি বৃহস্পতিবার পাস হয়। ভারত, চীন, রাশিয়া, আয়ারল্যান্ড, কানাডা, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, তুরস্ক, মিসর, নাইজেরিয়াসহ ৬৮টি দেশ প্রস্তাবনাটি সমর্থন করে। শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রথম প্রস্তবনা, যেখানে অর্থনৈতিক ও পরিবেশগতভাবে টেকসই এবং সামাজিকভাবে লাভজনক কৃষি পণ্য পাট ও অন্যান্য প্রাকৃতিক তন্তুর চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাব্যতা তুলে ধরা হয়েছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, প্রস্তাবনাটি পাট ও অন্যান্য প্রাকৃতিক তন্তুজাত পণ্যের জন্য একটি শক্তিশালী, কার্যকর ও সুনিপুণ ‘গ্লোবাল ভ্যালু চেইন’ এর পথ সুগম করলো। এর ফলে বৈশ্বিকবাজারে পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে এবং বাংলাদেশের পাট চাষি ও পাট ব্যবসায়ীদের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মে পাট ও পাটজাত দ্রব্য ব্যবহারের বিষয়টি তুলে ধরা। এক্ষেত্রে সব দেশকে একীভূত করতে অন্যান্য প্রাকৃতিক তন্তুগুলোকেও আমরা নিয়ে এসেছি। প্রথমবারের মতো এ ধরনের প্রস্তাবনা পাস করাতে আন্তর্জাতিক এই সমর্থন আমাদের প্রয়োজন ছিল। জাতিসংঘের এই স্থায়ী প্রতিনিধি আরও বলেন, প্রস্তাবনাটি প্রাকৃতিক আঁশ ব্যবহারের সুবিধা ও কৃত্রিম তন্তু যেমন প্লাস্টিক ব্যবহারের অসুবিধা এসব তুলে ধরার মাধ্যমে পরিবেশগত বিপর্যয় ও জলবায়ু পরিবর্তনরোধে ভূমিকা রাখবে। এছাড়া, প্রস্তাবনায় সদস্য দেশগুলোকে পাট ও অন্যান্য প্রাকৃতিক তন্তুর ব্যবহার বিষয়ে নতুন নতুন আইন, নীতি ও পরিকল্পনা গ্রহণেরও আহ্বান জানানো হয়েছে, যা একটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য বিষয়।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.