আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে ফের কোন্দলে বিয়ানীবাজার বিএনপি

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

সম্মেলনকালীন আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে ফের কোন্দলে জড়িয়েছে বিয়ানীবাজার বিএনপি। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হিসেবে নিজ বলয়ের ব্যক্তিকে মনোনীত করা নিয়ে দু’পক্ষে কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট জুবায়ের খানকে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক করে নতুন কমিটি ঘোষণার খবর কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। কমিটি ঘোষণা নিয়ে সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম জানান, অ্যাডভোকেট জুবায়ের খানকে বিয়ানীবাজার উপজেলার আহ্বায়ক মনোনীত করা হয়েছে। তবে বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ আসন থেকে গত নির্বাচনে বিএনপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ফয়সল চৌধুরীর অনুরোধে এই কমিটিতে আরো কয়েকজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অবশ্য জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল হুদা জায়গীরদার জানান, কমিটি ঘোষণার প্রাক-প্রস্তুতি চলছে। কাউকে এখনো আহ্বায়ক মনোনীত করা হয়নি। আমরা পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করবো। এই কমিটির কাজ আগামী তিনমাসের মধ্যে সকল ইউনিয়নে কমিটি গঠন করা। এরপর উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল সফলভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। বিএনপির সভাপতি নজমুল হোসেন পুতুল জানান, জেলা থেকে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা হওয়ার কথা। তবে আমি অসুস্থ থাকায় এখনো কমিটি ঘোষণা হয়েছে কিনা জানি না। অপরদিকে কাউন্সিলকে সামনে রেখে রাজপথের বিরোধী দল বিএনপির অন্দরমহল সরগরম হয়ে উঠেছে। বিয়ানীবাজার উপজেলায় বিএনপির আসন্ন কাউন্সিলকে উপলক্ষ্য করে বেশ নড়েচড়ে বসেছেন দলের নেতাকর্মীরা। প্রশাসনিক হয়রানি এড়াতে অনেকে প্রকাশ্যে কিছু না বললেও গোপনে চলছে জোর তৎপরতা। বিএনপির দলীয় সূত্র জানায়, বিয়ানীবাজার উপজেলায় আহ্বায়ক হিসেবে একপক্ষ জেলা নেতৃবৃন্দের কাছে অ্যাডভোকেট জুবের খান ও অপরপক্ষ আব্দুল কুদ্দুছ অথবা চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদকে মনোনীত করার দাবি জানায়। এ নিয়ে জেলা বিএনপি উপজেলা কমিটির নেতাদের মতামত নেয়। এতে জুবায়ের খানকে আহ্বায়ক মনোনীত করতে বেশিরভাগ নেতাকর্মী মতামত প্রকাশ করেন। উপজেলা বিএনপির সহ সাধারণ সম্পাদক ছরওয়ার হোসেন জানান, গত ১২ই নভেম্বর জেলা নেতৃবৃন্দ তাদের ডেকে নিয়ে আহ্বায়ক মনোনয়ন নিয়ে মতামত গ্রহণ করেছেন।বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে নজমুল হোসেন পুতুল এখনো পর্যন্ত একক প্রার্থী। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ছিদ্দিক আহমদ, আখতার হোসেন খান জাহেদ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আক্তার হোসেন অনিকের নাম আলোচনায় রয়েছে। পৌর বিএনপিতে সভাপতি হিসেবে আবু নাসের পিন্টু, আব্দুছ ছবুর ও সাধারণ সম্পাদক পদে গিয়াস উদ্দিন, জসীম উদ্দিন এবং কবির আহমদ প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুছ ছবুর জানান, আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর ওয়ার্ড ভিত্তিক নতুন কমিটি গঠন করা হবে। এবারের কাউন্সিলের মূল লক্ষ তৃণমূলের কর্মীদের আন্দোলনের বার্তা দেয়া। আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করবো। পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কবির আহমদ বলেন, আন্দোলন সংগ্রামে যারা মাঠে থাকবে, তাদের মধ্য থেকে নেতা নির্বাচন করবে কাউন্সিলাররা। সারা দেশে দল পুনর্গঠনের পর আন্দোলন শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে দলীয় হাইকমান্ডের। উপজেলা বিএনপির আসন্ন কাউন্সিলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না একাংশের প্রভাবশালী নেতা ও জেলা পরিষদের সদস্য নজরুল  হোসেন। তবে তার একটি বলয় সম্মেলনে বেশ সক্রিয় থাকবে বলে জানা গেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও