নারায়ণগঞ্জে এইডসে আক্রান্ত ৭ রোগীর সবাই হিজড়া
নারায়ণগঞ্জে গত দেড় বছরে ৭ জন এইডস রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে দু’জন মারা গেছেন। বাকি পাঁচজনকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভাকক্ষে বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নারায়ণগঞ্জ ড্রপ ইন সেন্টারের আয়োজনে এইচআইভি/এইডস প্রতিরোধ কার্যক্রমে সভাপতি’র বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. ইমতিয়াজ এ তথ্য জানান। ২০১৮ সাল থেকে শুরু করে চলতি বছরে ১৫৯ জন হিজড়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তাদের ৭ জনের দেহে এইচআইভি পজিটিভ শনাক্ত করা হয়। এর পাশাপাশি ৪২০ জন টিবি স্ক্রিনিং করে ৩ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে, তাদেরও ঢাকায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সচেতন হওয়ার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, এইচআইভি/এইডস রোগ কি মানুষ যদি জানতো তাহলে এই রোগ থেকে দেশ মুক্ত থাকত। তিনি বলেন, এইচআইভি রোগীদের প্রতি বাঁকা চোখে তাকাবেন না, তাদের ভালো ব্যবহারে বাঁচার আশা জাগিয়ে তুলতে হবে। সমাজটা যাতে ঝুঁকিতে না থাকে সে জন্য এইডস থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে। যদি কোন ট্রাক ড্রাইভার এইডস রোগে আক্রান্ত হয়ে তার স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করে, তাহলে তার স্ত্রী ও আসা সন্তানরা এই রোগে আক্রান্ত হবে। স্ত্রী ছাড়া কারো সঙ্গে যৌন সম্পর্ক থাকা উচিত নয়। যৌন সম্পর্ক স্থাপনের সময় নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হলে এইডস থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। আপনি যার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করছেন সে এইডসে আক্রান্ত কি না তা বোঝা যায় না। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে অনেক জরুরি রক্ত প্রয়োজন হয়। সে কারণে রেডিমেট রক্ত কিনে এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন এমন অনেক রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এইডসে কি পরিণতি কি হয় তা তুলে ধরতে হবে। ইমামদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রতি নামাজে বা বিশেষ নামাজগুলোতে এইডস সহ বিভিন্ন বিষয়ে মুসল্লিদের জানাবেন।আপনাদের কথাগুলো মূল্যায়ন করে মুসল্লিরা। বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নারায়ণগঞ্জ ড্রপ ইন সেন্টারের সিনিয়র ম্যানেজার এ কে হুমায়ূন কবিরের সঞ্চালয়নায় উপস্থিত ছিলেন, সিভিল সার্জন হেলথ অফিসার, মেডিকেল অফিসার ডা. সাখাওয়াত হোসেন, অ্যাডভোকেট মেরিনা বেগম ও ডা. জব্বার চিশতি সহ বিভিন্ন শ্রেণির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নারায়ণগঞ্জ ড্রপ ইন সেন্টারের সিনিয়র ম্যানেজার এ কে হুমায়ূন কবির বলেন, ১৯৯৬ সাল থেকে দেশেব্যাপী হিজড়া এবং লিঙ্গ বৈচিত্র জনগোষ্ঠির মধ্যে বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি কার্যক্রম শুরু হয়। এখান থেকে কনডম বিতরণ করা হয়। এইডস রোগের কোন ঔষধ নেই।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- এইডস আক্রান্ত
- ঢাকা