কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

স্কুল শিক্ষিকার মৃত্যু বাকরুদ্ধ দুই মেয়ে

মানবজমিন প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

নারায়ণগঞ্জের মাসদাইর জেলা পুলিশ লাইন্স স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মাহমুদা বেগম ইজিবাইকের চাপায় নিহত হয়েছে। তিনি শহরের মাসদাইর এলাকায় এন এস টাওয়ারের তৃতীয় তলায় একটি ফ্ল্যাটে স্বামী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন। নিহত মাহমুদা সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী জামে মসজিদের সাবেক মোয়াজ্জিন আ: মান্নানের মেয়ে। মাহমুদার স্বামী মাহাবুব আলম ব্যবসায়ী। মাহমুদার আকস্মিক মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে পুরো পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা পুরাতন সড়কের মাসদাইর এলাকায়। এ সময় তিনি রাস্তা পারাপার হচ্ছিলেন। গতকাল  নামাজের জানাজা শেষে মাসদাইর কবরস্থানে মাহমুদাকে দাফন করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে শহরে মাসদাইর এলাকায় এন এস টাওয়ারের তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটের বাসিন্দা নিহত শিক্ষিকা মাহমুদা বেগমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, মা হারানোর শোকে দুই মেয়ের কান্না কেউ থামাতে পারছে না। নিহত মাহমুদার বড় মেয়ে সুমাইয়া ফারহা তিথি ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের প্রথম বিভাগের ছাত্রী ও ছোট মেয়ে লাবিবা তাহসীন শহরের মাসদাইর গভমেন্ট গার্লস স্কুলের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। মায়ের মৃত্যুর কারণে মেডিকেলে প্রথম বর্ষের ট্রাম পরীক্ষা থাকলেও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি তিথি। মায়ের শোকে বারবার মূর্ছা যাওয়া দুই মেয়েকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে বারবার কেঁদে উঠছেন বাবা নিজেই। এদিকে গতকাল দুপুরে মাসদাইর এনএস টাওয়ারে নিহতের ভাড়া বাসায় গিয়ে তার শোকার্ত পরিবারকে সমবেদনা জানান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক। তিনি মাহমুদার দুই মেয়েকে সান্ত্বনা দেন এবং যে কোনো প্রয়োজনে পরিবারের পাশে জেলা প্রশাসন আছে বলে আশ্বস্ত করেন।  ওই সময় তিনি শোকাহত পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। শিক্ষিকা মাহমুদার স্বামী মাহাবুব কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। সংসারটি খুব সাজানো গোছানো ছিল। দুই মেয়েকে নিয়ে খুব সুখে সংসার করছিলাম। স্ত্রী মাহমুদার বিষয়ে তিনি বলেন, মাহমুদাকে বলেছিলাম চাকরিটা করো না। মাহমুদা বিএড ডিগ্রিধারী ছিল। আসলে সে চাকরিটা খুব এনজয় করতো। অর্থের জন্য নয়। পেশাটাকে খুব ভালোবাস তো।শিক্ষিকা মাহমুদার দেবর মো. নূর আলম জানান, ঘটনার দিন পুলিশ লাইন স্কুলে পুলিশের পরীক্ষা ছিল। সেই পরীক্ষা নিতেই মাহমুদা স্কুলে গিয়েছিলেন। আমরা ভাবতে পারিনি আমাদের জন্য এ রকম একটি দুর্ঘটনা অপেক্ষা করছে। ঘাতক ইজিবাইকচালক ঘটনার পর পরই পালিয়ে গেছে।এদিকে মাসদাইর এন এস টাওয়ারের বাসিন্দা আলিমুদ্দিন জানান, ঢাকা- নারায়ণগঞ্জ পুরাতন পাগলা পুলিশ লাইন সড়ক দিয়ে যেসব ইজিবাইক চলাচল করছে এগুলোর কোনো আইনগত বৈধতা নেই। তারপরেও কোন ক্ষমতাবলে এগুলো সড়কে চলছে তা প্রশাসন ভালো বলতে পারবে। ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, ঘাতক ইজিবাইকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও